স্টাফ রিপোর্টার, চকরিয়া
জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে চকরিয়া পৌরসভা যুবলীগের ১নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক পারভেজ বাবু। হামলার দশদিন পরও জ্ঞান ফিরেনি তার। যুবলীগ নেতা বাবু সংকটাপন্ন অবস্থায় আইসিউতে ভর্তি আছেন চট্টগ্রাম শহরের একটি ক্লিনিকে। গত ৫ জুলাই সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে বাবুকে। বাবুকে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে। আর্থিক সংকটের কারণে উন্নত চিকিৎসাও দিতে পারছে না পরিবারের সদস্যরা।
এদিকে যুবলীগ নেতা পারবেজ বাবুকে হত্যা চেষ্ঠার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী। যুবলীগ নেতা বাবুর হামলাকারী সন্ত্রাসী ইউছুপকে গ্রেফতার করে শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য শতশত নারীপুরুষ মানববন্ধনে অংশ নেন। ১৪ জুলাই বিকাল ২টার দিকে চকরিয়া পৌর এলাকার ১নং ওয়ার্ডের তরছপাড়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনের আয়োজন করে স্থানীয় এলাকাবাসী।
এলাকাবাসীরা বলেন, যুবলীগ নেতা পারবেজ বাবুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্যোশে কুপিয়ে যখম করে। গত ৫ জুলাই একই এলাকার সন্ত্রাসী ইউছুপ তার দলবল নিয়ে পারভেজ বাবুর পৈত্রিক জমি দখল নিতে সীমানা দেওয়াল দেয়ার চেষ্ঠা করে। এসময় বাবু তাদেরকে বাধা দিলে তার উপর অর্তকিতভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। হামলায় মাথা ও ডান চোখ মারাত্মকভাবে আঘাত পান যুবলীগ বাবু। লোহার রড দিয়ে তার বাম পা ভেঙ্গে দেয় সন্ত্রাসীরা। পরে স্বজনরা যুবলীগ নেতা বাবুকে উদ্ধার করে চকরিয়া সরকারি হাসপাতাল ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তিনি সংকটাপন্ন অবস্থায় জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। ভর্তির দশদিন পরও জ্ঞান ফিরেনি পারবেজ বাবুর। বর্তমানে সংকটাপন্ন অবস্থায় আইসিউতে ভর্তি আছেন চট্টগ্রাম শহরের একটি ক্লিনিকে। দু:চিন্তায় রয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। তার বাবা নাজেম উদ্দিন পুত্রের এমন পরিনিতিতে চরম হতাশায় ভোগছেন। বাখরুদ্ধ রুদ্ধ হয়ে পড়েছেন তার স্ত্রীও। তার শারীরিক অবস্থা খুবই জটিল। এধরণের হামলা কোনভাবেই মেনে নিতে পারছে না এলাকাবাসী ও সহকর্মীরা। দ্রæত সময়ে সন্ত্রাসী ইউছুপকে গ্রেফতার ও শাস্তির দাবী জানান তারা।
পাঠকের মতামত: