ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে চকরিয়ায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বর্ণাঢ্য র‌্যালী ও আলোচনা সভা

এম.মনছুর আলম, চকরিয়া:৷ ঐতিহাসিক ৭নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে কক্সবাজারের চকরিয়ায় বর্ণাঢ্য র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৭নভেম্বর) বিকেলে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক মু. ফখরুদ্দীন ফরায়েজি, যুগ্ম আহবায়ক এস এম মনজুন ও সাইফুল ইসলাম ছাবু’র নেতৃত্বে মহাসড়কে বিশাল র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

চকরিয়া উপজেলা বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এদিন বিকেলে চকরিয়া থানা রাস্তার মাথাস্থ সিস্টেম কমপ্লেক্সের সামনে থেকে  এক বর্ণ্যাঢ্য র‌্যালী বের করা হয়। র‌্যালীটি চকরিয়া পৌরশহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে জনতা টাওয়ারের সামনে এসে শেষ হয়। পরে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক মু. ফখরুদ্দীন ফরায়েজি সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত আলোচনা সভায় উপজেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দ ছাড়াও অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দরা বক্তব্য রাখেন।
আলোচনা সভায় বক্তরা ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের নানা দিক ও প্রতিকূলতার কথা তুলে ধরে বলেন, ১৯৭৫ সালের আজকের এদিনে আধিপত্যবাদী চক্রের সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে জাতীয় স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষার দৃঢ়প্রত্যয় নিয়ে সিপাহী-জনতা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাজপথে নেমে এসেছিল।
এ দেশের রাজনীতিতে দিনটি ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।  সিপাহি-জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লব ঘটায় এই দিনে। যা দেশের তৎকালীন রাজনীতির গতিধারা পালটে দিয়ে দেশ ও জাতিকে নতুন করে পরিচয় করেছিল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরবর্তী সেনা অভ্যুত্থান ও পালটা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশে যখন চরম নৈরাজ্যজনক পরিস্থিতি বিরাজ করছিল, তখন সিপাহি-জনতার মিলিত ঐক্যের বিপ্লব দেশ ও জাতিকে শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দিয়েছিল। অভূতপূর্ব  বিপ্লব-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সাময়িক বন্দিদশা থেকে মুক্ত হন স্বাধীনতার ঘোষক তৎকালীন সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান। মেজর জিয়া বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়ে ৭ নভেম্বর ভোরে রেডিওতে ভেসে আসে, ‘আমি মেজর জেনারেল জিয়া বলছি।’ জেনারেল জিয়া জাতির উদ্দেশে ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে যথাস্থানে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে সবার প্রতি আহ্বান জানান। ওইদিন রাজপথ ছিল মিছিলে মিছিলে একাকার। সাধারণ মানুষ সেনাবাহিনীর ট্যাঙ্কের নলে পরিয়ে দেন ফুলের মালা। এই আনন্দের ঢেউ ছাড়িয়ে দেশের সব শহর-নগর-গ্রামেও পর্যন্ত পৌঁছে যায়।##

পাঠকের মতামত: