ঢাকা,মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার অর্থায়নে শৈবাল চাষ প্রশিক্ষণ

নিজস্ব প্রতিবেদক :: জাতি সংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার অর্থায়নে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনিস্টিটিউট (বিএআরআই) এর সহযোগিতায় কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার সোনার পাড়ায় সামুদ্রিক শৈবাল চাষের উপর প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৮ মার্চ দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার পাশাপাশি হাতে কলমে শেখা ও দেখার জন্য প্রদর্শনি প্লট স্থাপন করা হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএআরসি’র নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, জাতি সংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সামুদ্রিক শৈবাল প্রকল্পের ন্যাশনাল কনসালটেন্ট ড. এ.এম. সাহাবউদ্দিন, প্রকল্পের ন্যাশনাল কো-অর্ডিনেটর ও বিএআরসি’র মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. কবির উদ্দিন আহমেদ, বিএআরআই’র মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো: আককাস আলী, মৎস্য অধিদপ্তরের জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মো: আবদুল আলীম। অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বিএআরআই’র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ শরফুদ্দিন ভুঁঞা।

বিএআরসি’র মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো: আবদুছ ছালামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালাটি পরিচালনা করেন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ওমর ফরুক মাশুক।

অনুষ্ঠানে বক্তারা সামুদ্রিক শৈবাল চাষের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তর আলোচনা করেন। সামুদ্রিক শৈবাল চাষ এ অঞ্চলের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে বক্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ড. সাহাবউদ্দিন বলেন, সামুদ্রিক শৈবাল সুনীল অর্থনীতিতে গুরুত্বপুর্ণ অবদান রাখবে এবং এ অঞ্চলের জনগণের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে। সামুদ্রিক শৈবাল পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি সামুদ্রিক উদ্ভিদ। যা বিভিন্ন রোগবালাই হতে মানুষকে রক্ষা করতে সহায়ক। বিশের বিভিন্ন দেশে প্রতিদিনের খাদ্যে সামুদ্রিকে শৈবাল ব্যবহার করা হয়। এ অঞ্চলের রাখাইন সম্প্রদায় বহু যুগ ধরে সামুদ্রিক শৈবাল খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করে আসছে।

কর্মশালায় ২৫ জন চাষী অংশ নেন।

 

পাঠকের মতামত: