ঢাকা,রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

চকরিয়া পৌর নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে সুবিধাজনক বিএনপি, একাধিক প্রার্থী নিয়ে বিপাকে আওয়ামীলীগ

110-300x141এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া

কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্টিত হচ্ছে আগামীকাল ২০ মার্চ। এই নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থী আলমগীর চৌধুরীকে বিজয়ী করতে আওয়ামীলীগের সকলস্থরের নেতাকর্মী একাট্টা হলেও বিপাকে পড়েছে কাউন্সিলর পদে ৯টি ওয়ার্ডে দলের একাধিক প্রার্থী ভোটের মাঠে থাকায়। তবে এ ক্ষেত্রে বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন বিএনপি। ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ছয়টিতে বিএনপি কাউন্সিলর পদে একক প্রার্থী নির্ধারণ করলেও তিনটি ওয়ার্ডে তাঁরা কোন প্রার্থী দিতে পারেনি। অভিযোগ উঠেছে, ওই তিনটি ওয়ার্ডে বিএনপির নেতাকর্মীরা গোপনে আওয়ামীলীগের পক্ষ হয়ে ভোটের মাঠে কাজ করছেন। এ কারনে বারবার চেষ্টা করেও বিএনপির পক্ষ থেকে ওই তিনটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী দেওয়া সম্ভব হয়নি। এবারের নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে ৪৭ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ২০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।

স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, চকরিয়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থী মকছুদুল হক মধু। বিপরীতে আওয়ামীলীলীগে রয়েছেন তিনজন। তাঁরা হলেন ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক সাহাব উদ্দিন সওদাগর, ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মো.নুরুস শফি এবং আওয়ামীলীগের সমর্থক ও বর্তমান কাউন্সিলর নুর হোসেন। তবে ইতোমধ্যে বর্তমান কাউন্সিলর নুর হোসেন অপর কাউন্সিলর প্রার্থী সাহাব উদ্দিন সওদাগরকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁিড়য়েছেন। ২ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থী বর্তমান কাউন্সিলর নুরুল আমিন। তাঁর বিপরীতে আওয়ামীলীগে রয়েছেন চারজন। তাঁরা হলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক মিজবাউল হক, পৌরসভা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক রেজাউল করিম, আওয়ামীলীগের সমর্থক হাজি আবুল কালাম ও তাঁর ভাতিজা ডামি প্রার্থী ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপির কোনো প্রার্থী নেই। আওয়ামীলীগের আছেন তিনজন। তাঁরা হলেন বর্তমান কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি বশিরুল আইয়ুব, আওয়ামীলীগের নেতা আক্কাস আহমদ সওদাগর ও যুবলীগের নেতা আশেকুর রহমান মামুন। ৪ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপির একক প্রার্থী ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জাফর আলম কালু। এ ওয়ার্ডে পৌরসভা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদুল ইসলাম ও পৌর শ্রমিক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম ভোট যুদ্ধে আছেন। ৫ নম্বর ওয়ার্ডে পৌর যুবদলের সদস্য বেলাল উদ্দিন বিএনপির একক প্রার্থী। আওয়ামীলীগে আছেন তিনজন। তাঁরা হলেন পৌরসভা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফোরকানুল ইসলাম তিতু, আওয়ামীলীগে যোগদান করা ফোরকানুল ইসলাম ও আওয়ামীলীগ সমর্থক জাফর আলম। ৬ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপির একক প্রার্থী ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শিব্বির আহমদ। তাঁর প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী আছেন আওয়ামীলীগের তিনজন। তাঁরা হলেন ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদিন, উপজেলা চেয়ারম্যানের ভাতিজা আওয়ামীলীগের নেতা জিয়াবুল হক ও উপজেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন। ৭ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপির এককপ্রার্থী বর্তমান কাউন্সিলর এনামুল হক। বিপরীতে আওয়ামীলীগের আছেন তিনজন। তাঁরা হলেন ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন ও পৌর মৎস্যজীবীলীগের সভাপতি নুরুল আমিন। ৮ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপির একক প্রার্থী বর্তমান কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম ফোরকান। বিপরীতে আওয়ামীলীগের রয়েছেন তিনজন। তাঁরা হলেন উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি মুজিবুল হক মুজিব, আওয়ামীলীগের নেতা আবুল হোছন ও যুবলীগের নেতা জয়নাল আবেদিন হাজারী। ৯ নম্বর ওয়ার্ডে পৌরসভা বিএনপির অর্থ সম্পাদক সেলিম উদ্দিন বিএনপির একক প্রার্থী। তাঁর বিপরীতে আছেন ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক কমিশনার হুমায়ুন কবির ও ওয়ার্ড যুবরীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম।

জানতে চাইলে চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটু বলেন, আমরা তফসিল ঘোষনার পর দলের বেশির ভাগ কাউন্সিলর প্রার্থীকে ডেকে সমন্বয় করার চেষ্টা করেছিলামা। কিন্তু পরে দেখেছি আওয়ামীলীগের কাউন্সিলর প্রার্থীরা প্রত্যেকে এলাকায় যোগ্য। ভোটের মাঠে একটি ভাল অবস্থানে আছেন। এ কারণেই একাধিক প্রার্থী থাকলেও তাদেরকে আমরা এব্যাপারে আর নিরুৎসাহিত করিনি। #

পাঠকের মতামত: