চকরিয়া পৌর আওয়ামীলীগ নেতা ও নির্বাচিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর রেজাউল করিম সহ ৫জনের বিরুদ্ধে এক যুবককে অপহরণ পূর্বক আটকে রেখে মারধরের অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করেছে আব্বাস আহমদ নামে এক ব্যক্তি। ১০এপ্রিল চকরিয়া সিনিয়ার জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে (সিআর ৩৪০) এ মামলাটি করা হয়। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে ডিবি পুলিশ কক্সবাজারকে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানাগেছে, চকরিয়া উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড মাইজকাকারা গ্রামের আব্বাস আহমদের ছেলে ইয়াসিন আরাফাত (২২) গত ৮এপ্রিল বিকালে পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের জালিয়াপাড়া এলাকা থেকে ব্যক্তিগত কাজ শেষে কাকারাস্থ বাড়ি ফিরছিল। প্রতিমধ্যে বিকাল ৪টার দিকে হালকাকারা চৌরাস্থ মাল্টিমিডিয়া স্কুলের সামনে পৌছলে ২নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচিত কাউন্সিলর আওয়ামীলীগ নেতা রেজাউল করিমের নেতৃত্বে ৮/১০জনের একদল দূর্বৃত্ত ইয়াসিনকে জোর পূর্বক একটি কার গাড়ীতে তুলিয়া অপহরণ করে কাউন্সিলারের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে দূর্বৃত্তরা ইয়াসিনের শার্ট প্যান্ট খুলে লোহাড় রড়,হাতুড়ী ও লাঠি দিয়ে সমস্ত শরীরে বেধড়ক মারধর করে গুরুতর আহত করে। এক পর্যায়ে তার হাতে দুটি কাটা বন্দুক দিয়ে বেশ কয়েকটি ছবি ধারণ করে এবং পকেটে থাকা নগদ টাকা ও মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেয়। মামলায় ইয়াসিনের পিতা আব্বাস আরো অভিযোগ করেন, ছেলের সন্ধান না পেয়ে বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করলেও কোন প্রদক্ষেপ নেয়নি, বরংস পুলিশ উল্টো বাদী আব্বাসকে ধমক দিয়েছে। এদিকে মারধর ও অমানষিক নির্যাতনের পর ৯এপ্রিল ভোররাত ৩টার দিকে অপহৃত ইয়াসিনকে হাত-পা বেধে অর্ধমৃত অবস্থায় একটি গাড়ীতে করে মাইজকাকারাস্থ বাড়ির পাশ্ববর্তী এলাকায় ফেলে দিয়ে চলে যায় দূর্বৃত্তরা। বাড়ির লোকজন কান্নার আওয়াজ শুনে ঘুম থেকে জেগে গুরুতর আহত অবস্থায় ইয়াসিনকে উদ্ধার করে প্রথমে চকরিয়া সরকারি হাসপাতাল, পরে কর্তব্যরত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। মামলায় অভিযুক্ত কাউন্সিলর রেজাউল করিম ছাড়াও অপরাপর আসামীরা হলেন; চকরিয়া পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের হালকাকারা জনতা মার্কেট পাড়া এলাকার মৃত সোলতান আহমদের ছেলে মো: ওসমান, মো: ইউনুছ, কফিল উদ্দিন ও নাছির উদ্দিন সহ অজ্ঞাত ৪/৫জন।
উল্লেখ্যযে, ২০১৫সালের ৫ডিসেম্বর উপরোক্ত দূর্বৃত্তরা একই কায়দায় চাঁদা আদায়ের জন্য ইয়াসিন আরাফাতকে অপহরণ পূর্বক মারধর ও নির্যাতন চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অপহৃত ইয়াসিনকে উদ্ধার করে। ওই ঘটনায় আদালতের নির্দেশে থানায় জি.আর মামলা নং ৫৫২/১৫ইং দায়ের করেন। ওই মামলা প্রত্যাহার করে না নেওয়ায় দূর্বৃত্তরা পূণরায় এঘটনাটি করেছে। ভুক্তভোগী পরিবার প্রশাসনের সহায়তা কামনা করছেন।
পাঠকের মতামত: