ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়া-পেকুয়া আসনে নৌকা-ধানের অনুপস্থিত নেই নির্বাচনী উত্তাপ

এইচ এম রুহুল কাদের, চকরিয়া :
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-১(চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে চলছে উত্তাপ হীন প্রচারণা। ২৪ডিসেম্বর(রবিবার) পর্যন্ত সাবেক এমপি জাফর আলম ও মেজর জেনারেল ইব্রাহিম বীর প্রতীকের বেশ কয়েকটি মতবিনিময় সভা ও নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধন ছাড়া তেমন প্রচারণা দেখা যায়নি।

একদিকে ঋণখেলাপীর অভিযোগ তুলে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় বাতিল করে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক(নৌকার প্রার্থী) সালাহউদ্দিন আহমেদ সিআইপির মনোনয়ন।
অন্যদিকে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট ভোট বর্জনের কারণে তারা নির্বাচন থেকে দূরে আছেন।

তবে গত ২০ডিসেম্বর চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলমকে সাময়িক বহিষ্কারের বিষয়টি নিয়ে চকরিয়া-পেকুয়াতে বেশ আলোচনায় ছিল। তাছাড়া ডুলহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে আটক করে পরে ছেড়ে দেয়ার বিষয়টিও বেশ কৌতূহল সৃষ্টি করে।

চকরিয়া-পেকুয়ার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, নির্বাচনের মাঠে ৭জন প্রার্থী থাকলেও কোথাও তেমন তাদের প্রচারপত্র,ব্যানার-পোস্টার মাইকিং তেমন চোখে পড়ছে না। কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে কারো কোনো অভিযোগও দেখা যাচ্ছে না।

কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল এসে (হাত ঘড়ি)মেজর ইব্রাহিমকে দলীয় সমর্থন দেয়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মীরা কিছুটা স্বস্তি ফিরিয়ে পেয়েছে।

নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন ৭জন প্রার্থী, তারা হলেন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব:) সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম বীর প্রতীক(হাত ঘড়ি), স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সাংসদ জাফর আলম(ট্রাক) তার পুত্র তানভির আহমদ সিদ্দিকী তুহিন (ঈগল), ওয়ার্কাস পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য হাজী বশিরুল আলম (হাতুড়ি), জাতীয় পার্টির হোসনে আরা(নাঙল), ইসলামী ফ্রন্টের বেলাল উদ্দিন(মোমবাতি)।

পাঠকের মতামত: