ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়া-পেকুয়া আসনে এমপি প্রার্থী হতে চায় আ.লীগের ওরা ১৮ জন !

চকরিয়া প্রতিনিধি ::   আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চকরিয়া-পেকুয়া আসনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও জাতীয় পার্টি (জেপি) থেকে মনোনয়ন ফরম কিনলেন অন্তত ১৮জন মনোনয়ন প্রত্যাশী।দু্ইদিনের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশে ঢাকার ধানমন্ডীর আওয়ামীলীগের কার্যালয় থেকে এই মনোনয়ন ফরম ক্রয় করেছে অনেকেই। একইভাবে জাতীয় পার্টি ও জাতীয় পার্টি (জেপি’র) কার্যালয় থেকে অন্য দুই প্রার্থীও মনোনয়ন ফরম কেনেন। তবে মনোনয়নপত্র কেনার বহরে মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানান একাধিক নেতা।

জানা গেছে, গত তিনদিনে চকরিয়া-পেকুয়া আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহমদ সিআইপি, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এডভোকেট আমজাদ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ড. মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম সজিব, চকরিয়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন-সম্পাদক মো.আলমগীর চৌধুরী, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, জেলা আওয়ামীলীগের শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক খালেদ মোহাম্মদ মিথুন, সদস্য এটিএম জিয়াউদ্দিন চৌধুরী জিয়া, সদস্য মিজানুর রহমান, সদস্য উম্মে কুলসুম মিনু, মাতামুহুরী সাংগঠনিক থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান মহসিন বাবুল, পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম, চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিট, যুক্তরাজ্য আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এডভোকেট ফয়সাল সিদ্দিকী, চকরিয়া পৌরসভা যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি খলিল উল্লাহ চৌধুরী।

অপরদিকে চকরিয়া-পেকুয়া আসনে জাতীয় পার্টি (জেপি) থেকে প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য এএইচ সালাহউদ্দিন মাহমুদ ও জাতীয় পার্টি (এরশাদ) থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন বর্তমান সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ ইলিয়াছ।

বিগত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন লাভ করেছিলেন চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আলম। পরবর্তীতে আসন ভাগাভাগির কারণে মহাজোটের শরীকদল জাতীয় পার্টিকে এই আসনটি ছেড়ে দেন আওয়ামীলীগ। এই আসনে জাপা থেকে মনোনয়ন পান জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি হাজী মোহাম্মদ ইলিয়াছ। ওই নির্বাচনে বিএনপি না আসায় বিনা ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। এবারও তিনি মহাজোট থেকে মনোনয়ন পাচ্ছেন বলে এলাকায় গুঞ্জন রয়েছেন। এদিকে মাঠে ময়দানে চসে বেড়াচ্ছেন আওয়ামী লীগের অন্যতম মনোনয়ন প্রত্যাশী উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আলম।

তিনিও এবারে নির্বাচনে আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন পেতে মরিয়া হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন পাবেন এমনটা মনে করছেন নেতাকর্মীরা। এছাড়াও মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আহমদ সিআইপি, জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ড. আশরাফুল ইসলাম সজিব।

তারাও মাঠে ময়দানে গণসংযোগ ও জোর লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে কৌশলগত কারণে এই আসনটি আওয়ামীলীগের আরেক শরীক দল জাতীয় পার্টির (জেপি) প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য এএইচ সালাহউদ্দিন মাহমুদ। তিনিও মনোনয়ন পেতে জোর লবিং চালাচ্ছেন বলে জানান তার সমর্থকরা। এসব প্রার্থীরা দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত করতে বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।

তবে শেষ পর্যন্ত দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা যাকেই মনোনয়ন দেবেন তাঁর পক্ষেই মাঠে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা।

পাঠকের মতামত: