প্রেস বিজ্ঞপ্তি ::
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণা শেষ হওয়ার পরও কক্সবাজার-০১ (চকরিয়া-পেকুয়া) সংসদীয় আসনের পেকুয়ায় মিছিল নিয়ে হামলা চালিয়ে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী এডভোকেট হাসিনা আহমদের নির্বাচনী কার্যালয় ভাংচুর করেছে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা। ওই সময় হামলাকারিরা বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণও করেছে।
শুক্রবার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের সাতঘরিয়া পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
অপরদিকে চকরিয়ায় বিএনপি প্রার্থীর ভোটার স্লিপ বিতরণকালে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর লোকজন চকরিয়া পৌর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক হাসনা খানমকে ধরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তার হাতে তুলে দিয়েছে। সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা বিএনপি নেত্রীকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন।
বিএনপির স্থানীয় নেতারা জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী জাফর আলমের নামে শ্লোগান দিতে দিতে জয়নালের নেতৃত্বে আলমগীর, আলী আকবর, আকিজ, আবু সৈয়দ, সোনা মিয়া ও ইউনুসের নেতৃত্বে মগনামা ইউনিয়নের সাতঘরিয়া পাড়ায় বিএনপি প্রার্থী হাসিনা আহমদ নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা চালায়। হামলাকারিরা বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। তারা হাসিনা আহমদের নির্বাচনী কার্যালয়ে ব্যাপক ভাংচুর চালায়।
অন্যদিকে শুক্রবার ভোটারদের মাঝে ভোটার স্লিপ বিতরণকালে চকরিয়া পৌর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা হাসনা খানমকে আটকে দেয় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ক্যাডাররা। তারা ওই মহিলা দল নেত্রীকে মানসিক ও শারিরিক ভাবে হেনস্থা করে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে নিয়ে যায়। পরে সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা ওই বিএনপি নেত্রীকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
এদিকে আওয়ামী লীগ ক্যাডারদের হামলা, ভাংচুর ও নারী নেত্রীকে হেনস্থা করে পুলিশের দেয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন কক্সবাজার-০১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী হাসিনা আহমদ। তিনি এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
পাঠকের মতামত: