ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

পিবিআই পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ 

চকরিয়া-পেকুয়ার সাবেক সাংসদ ইবরাহিম ও জাফর সহ ৩৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

কক্সবাজারের চকরিয়ায় ২০০ একর আয়তনের  একটি চিংড়িঘের জবরদখল ও লুটপাটের  অভিযোগে আওয়ামী লীগ দলীয়  সাবেক এমপি জাফর আলম ও সদ্য বিলুপ্ত জাতীয় সংসদ সদস্য বাংলাদেশ কল্যাণ পাটির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক  সহ ৩৯ জনের নামোল্লেখ করে ১০৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা রুজু করা হয়েছে। গতকাল বুধবার (২৮ আগস্ট) চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলাটি রুজু  করেছেন চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের পুকপুকুরিয়া এলাকার  বাসিন্দা তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে আলী হায়দার।
আদালতের বিচারক প্রবাল চক্রবর্তী মামলাটি আমলে নিয়ে কক্সবাজারের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলা আসামি করা হয়েছে চিরিংগা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন, সাবেক চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন, মো. আমিন, মো. মামুন, বাবুল, জমির উদ্দিন, জিয়াবুল হক, নুরুল আমিন কমিশনার, নাজেম উদ্দিন প্রকাশ নাজু, মিজান, আওয়ামী লীগ নেতা নাগু সওদাগর, জমির উদ্দিন, রেজাউল মেম্বার, নাজেম উদ্দিন সওদাগর, কাউছার উদ্দিন কছির, সাবেক চেয়ারম্যান বদিউল আলমসহ ৩৯জনের নামোল্লেখ করে আরও ৬০ থেকে ৭০জনকে অজ্ঞাত আসামি দেখানো হয়েছে।
মামলার এজাহারে বাদী আলী হায়দার উল্লেখ করেছেন, চকরিয়া উপজেলার চরণদ্বীপ মৌজার ২ নং খতিয়ানের দাগ নং ০৯ এর অধিন ২০০ একর আয়তনের একটি চিংড়ি ঘেরের জমি ২০০৫ সালে ১৭২৫ দলিল মূলে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক ও চুক্তি মূলে ইজারা প্রাপ্ত হয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে চিংড়ি চাষ করে আসছিলেন।
চারবছর পরে এসে আসামীরা তাঁর নামীয় ইজারার চিংড়িঘের থেকে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছেন। চাঁদা না দিলে ঘের দখলসহ নানা হুমকি দিয়ে আসছিল।
এরই প্রেক্ষিতে বিগত ২০০৯সালের ১জানুয়ারি সকাল ১০টায় কক্সবাজার-১ (চকরিয়া পেকুয়া ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলমের নেতৃত্বে আসামিরা ফাঁকা গুলি করতে করতে চিংড়ি ঘের ইজারাকৃত ঘের দখল করে নেয়।
এ সময় ঘেরে থাকা ১৫লাখ টাকা দামের দুটি ইঞ্জিনচালিত বোট, ৫টি নৌকা, ৫লাখ টাকার ১০০টি ছাগল, ১০ লাখ টাকার ২০টি মহিষ লুট করে নিয়ে যায়। চিংড়ি ঘেরে থাকা ৫টি টঙ ঘর, ১০টি জালসহ বিভিন্ন ধরণের মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়।
বাদির আইনজীবি ও চকরিয়া উপজেলা এডভোকেট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মিফতাহ্ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘ভুক্তভোগী আলী হায়দার বাদি হয়ে  রুজু করা নালিশী আবেদনটি আমলে নিয়েছেন  চকরিয়া উপজেলা  সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। গতকাল বুধবার শুনানি শেষে আদালতের বিচারক প্রবাল চক্রবর্তী মামলাটি তদন্তের জন্য কক্সবাজারের পিবিআইকে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।’ ###

পাঠকের মতামত: