কক্সবাজারের চকরিয়ায় অন্যতম সেরা শিক্ষা প্রতিষ্টান চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠে উৎসবের আমেজে একবছর মেয়াদে স্টুডেন্টস্ কেবিনেট নির্বাচন গতকাল বুধবার সকালে সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিষ্টানের মাধ্যমিক শাখার দুই হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৪শত শিক্ষার্থী ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনার মাধ্যমে এদিন পছন্দের প্রার্থী নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। ছোটদের এ ভোটযুদ্ধে ৪২জন প্রার্থীর মধ্যে সর্বোচ্চ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন আটজন। তাদের মধ্যে রয়েছেন পাঁচজন ক্লাস ভিত্তিক ও তিনজন সাধারণ কোটায়। বিজয়ীরা হলেন, ক্লাস ভিত্তিক ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে মো.সাজিরুল হক। তার প্রাপ্ত ভোট ৫১৫, সপ্তম শ্রেণীতে জন্নাতুল নাঈম লিজা। তার প্রাপ্ত ভোট ৫৬৮, অষ্টম শ্রেণীতে নুরুল আজম রাকিব। তার প্রাপ্ত ভোট ৪৫৪, নবম শ্রেণীতে এলিছাবেদ জামশেদ ছিদ্দিকী। তার প্রাপ্ত ভোট ৩৯৬, দশম শ্রেণীতে এমদাদুল হক সাইমন। তার প্রাপ্ত ভোট ৪০২, সাধারণ কোটায় ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে শাহনাজ সুলতানা জুহি। তার প্রাপ্ত ভোট ৩৫৪, সপ্তম শ্রেণীতে আবু হুয়াইরা জুয়েল। তার প্রাপ্ত ভোট ৪৫২ ও অষ্টম শ্রেণীতে রিদুয়ানুল ইসলাম রুবেল। তার প্রাপ্ত ভোট ৩৬২।
অনুষ্টিত স্টুডেন্টস্ কেবিনেট নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, সহকারি নির্বাচন কমিশনার, প্রিসাডিং, পোলিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন একই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ভোট গণনা শেষে এদিন দুপুরে ফলাফল ঘোষনা করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.নুরুল আখের। এসময় বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, শিক্ষিকা ও পরিচালনা কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জানতে চাইলে চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক মো.নুরুল আখের বলেন, সরকারিভাবে স্টুডেন্টস্ কেবিনেট নির্বাচন অনুষ্টানের দিন ধার্য্য করা হয় গত ২১ এপ্রিল। কিন্তু ওইদিন চকরিয়া পৌরসভা এলাকায় স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্বাচন থাকায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নির্দেশে ৩০ এপ্রিল চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠে স্টুডেন্টস্ কেবিনেট নির্বাচন সম্পন্ন করা হয়েছে। নির্বাচনে দুই হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৪শত শিক্ষার্থী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এতে প্রতিদ্বন্দিতাকারী ৪২জন প্রার্থীর মধ্যে সর্বোচ্চ ভোটে পাঁচজন ক্লাস ভিত্তিক ও তিনজন সাধারণ কোটায় স্টুডেন্টস্ কেবিনেট নির্বাচনে সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের মাঝে গণতন্ত্র বিকাশে স্টুডেন্টস্ কেবিনেট নির্বাচনের মাধ্যমে যেই উদ্যোগটি নিয়েছেন সত্যিই তা প্রশংসার দাবি রাখে। এই কার্যক্রমের আওতায় শিক্ষার্থীরা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পেরে নিজেদের মাঝে একে অপরের প্রতি দায়িত্ববোধ ও সৌর্হাদ্য পুর্ণ সর্ম্পক উন্নয়নে যোগ্যতার পরিচয় দিতে সক্ষম হচ্ছেন। #
পাঠকের মতামত: