ঢাকা,বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষকদের হয়রানি ও হুমকির অভিযোগ

ও্র্র্র্র্রওচকরিয় অফিস :
চকরিয়া পৌরশহরের প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্টান চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠে প্রধান শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষকদের হয়রানি ও প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে কয়েকজন ভাল শিক্ষককে শ্রেণি কক্ষে পাঠদানে বিরত রাখা ও হাজিরাখাতায় দস্তখত দিতে দিচ্ছেন না। একজন শিক্ষককে স্কুল থেকে চলে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষক নুরুল আখের তার বিরুদ্ধে আনীত এসব অভিযোগ আংশিক স্বীকার করে বলেছেন; সহকারী শিক্ষকা জন্নাতুল মোকাররমা অন্য বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করা ও চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় তাকে পাঠদানে বিরত রাখা হয়েছে। প্রধান শিক্ষকের এ বক্তব্য সত্য নয় বলে জানিয়েছেন সহকারী শিক্ষিকা জন্নাতুল মোকাররমা।
চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠের স্থায়ী নিয়োগ প্রাপ্ত সহকারী শিক্ষিকা জন্নাতুল মোকাররমা অভিযোগ করে জানান, গত ২৬ জানুয়ারী থেকে তাকে কোন শোকজ ব্যতিরেখে ক্লাসে পাঠদানে বিরত রেখেছেন। তিনি প্রত্যেকদিন যথাসময়ে স্কুলে গেলেও তাকে প্রধান শিক্ষক নুরুল আখের পাঠদানে বাধাদান ও হাজিরা খাতায় দস্তখত দিতে দিচ্ছেন না। এ ব্যাপারে কারণ জানতে চেয়ে প্রধান শিক্ষককে একজন আইনজীবীর মাধ্যমে গত ২৮ জানুয়ারী একটি লিগ্যাল নোটিশও দিয়েছেন। এরপর থেকে প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দিয়ে তাকে প্রাণ নাশেরও হুমকি দিচ্ছেন।
এ ব্যাপারের চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক নুরুল আখেরের কাছ জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, সহকারী শিক্ষিকা জন্নাতুল মোকাররমা চকরিয়া পৌরশহরে সদ্য প্রতিষ্টিত ‘চকরিয়া ক্যাডেট কলেজ’ এ শিক্ষকতা করেন। তার বিরুদ্ধে চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থীদের ওই প্রতিষ্টানে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠায় তাকে পাঠদানে বিরত রাখা হয়েছে। চকরিয়া ক্যাডেট কলেজের প্রতিষ্টাতা চেয়ারম্যান হাজী বশিরুল আলম জানিয়েছেন; জন্নাতুল মোকাররমা তাদের প্রতিষ্টানে শিক্ষকতা করার জন্য নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিয়ে প্রথম হয়েছিল। কিন্তু তিনি চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ ছেড়ে আসতে চাননি। তার নিয়োগ বাতিল হয়ে গেছে। তিনি ওই চকরিয়া ক্যাডেট কলেজে কোন ক্লাস করেননি।
এ ব্যাপারে চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠের সহকারী শিক্ষিকা জন্নাতুল মোকাররমা জানান; চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠের কিছু শিক্ষক প্রতিনিয়ত প্রাইভেট বাণিজ্যে করে আসছেন। আমরা কয়জন এসব প্রাইভেট বাণিজ্যের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছি। এতে ওই শিক্ষকরা প্রধান শিক্ষককে ম্যানেজ করে আমাদেরকে এ প্রতিষ্টান থেকে বের করে দিতে চাইছেন। গতকাল ৪ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় তাকে প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন লোক দিয়ে প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছেন বলেও ফোন করে এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন। এ বিদ্যালয়ের অপর এক সহকারী শিক্ষক ইমতিয়াজ উদ্দিন তফসীর জানান; তাকেও প্রধান শিক্ষক নুরুল আখের গত অক্টোবর মাসে একইভাবে বিদ্যালয় থেকে চলে যেতে বাধ্য করেছেন।

পাঠকের মতামত: