চকরিয়া প্রতিনিধি :: আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চকরিয়া-পেকুয়া দুই উপজেলার কোন না কোন ইউনিয়নে ঘটে চলছে নির্বাচন নিয়ে বিচ্ছিন্ন হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা। জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার পর থেকে চকরিয়া-পেকুয়ায় বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অন্তত বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়। এ ধরণের ঘটনা নিয়ে এলাকার সাধারণ ভোটার ও বিএনপি নেতাকর্মীরা গ্রেপ্তার নিয়ে চরম আতঙ্ক রয়েছে বলে দাবী করেছেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ।
কক্সবাজার-১ চকরিয়া-পেকুয়া আসনের বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের মনোনীত প্রার্থী এডভোকেট হাসিনা আহমদের চকরিয়া উপজেলা বরইতলী ইউনিয়নের নির্বাচনী কার্যালয় হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে একদল দুর্বৃত্ত। এসময় দুবৃর্ত্তরা দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে এলাকায় ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে নির্বাচনী অফিসে ঢুকে তান্ডব চালিয়ে চেয়ার-টেবিল ভেঙে ফেলে। এ ভাংচুরের ঘটনায় বিএনপি প্রার্থী এডভোকেট হাসিনা আহমেদ তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীর দলীয় নেতা-কর্মীদের দায়ী করেছেন। বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নস্থ শান্তিবাজার ষ্টেশন এলাকায় এ ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা বলেন, বুধবার রাত ১০টার দিকে বিএনপি প্রার্থী এডভোকেট হাসিনা আহমেদ দলীয় কর্মী- সমর্থকরা সবাই খেতে যায়। অফিসে বিএনপির কোন কর্মী-সমর্থক না থাকার সুযোগে অতর্কিত ভাবে আওয়ামীলীগ প্রার্থীর বেশকয়েকজন লোকজন এসে লাঠি ও লোহার রড দিয়ে নির্বাচনী কার্যালয়ের ভিতরে ঢুকে এলোপাতাড়ি ভাংচুর চালায়।
এ ঘটনায় বিএনপির ও ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী এডভোকেট হাসিনা আহমেদ ঘটনার জন্য আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীর দলীয় নেতাকর্মীকে দায়ী করে বলেন, বিএনপির দলীয় নেতাকর্মীদের উপর একের পর হামলা, মিথ্যা গায়েবী মামলা, নির্বাচনী অফিস ভাংচুর ও কর্মী-সমর্থকদের গ্রেপ্তার করে কারো জনপ্রিয়তা কমানো সম্ভব নয়। তিনি আরও বলেন, তার নির্বাচনী প্রতিপক্ষ নৌকার প্রার্থী ও দলীয় নেতাকর্মীরা চকরিয়া-পেকুয়া ত্রাস সৃষ্টি, প্রতিনিয়ত গণসংযোগে বাঁধা, হামলা ও মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করে বিএনপি নেতাকর্মীদের নির্বাচন থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করছেন। মামলা-হামলা, ভাংচুর ও ভয়ভীতি চালিয়ে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীকে কেউ নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারবে না।
পাঠকের মতামত: