নিহত ফাতেমা বেগম রুম্পা (২০) মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ইউনিয়নের সিকদারপাড়ার বাহাদুর আলমের মেয়ে। আটক পাষন্ড স্বামী মিজানুর রহমান চকরিয়ার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের সোয়াজানিয়া এলাকার মৃত ছাবের আহমদের ছেলে।

নিহত ফাতেমার ছোট বোন আশরফা বিলকিস বলেন, এক বছর পূর্বে ডুলাহাজারা ইউনিয়নের সোয়াজানিয়া এলাকার মৃত ছাবের আহমদের ছেলে মিজানুর রহমানের সাথে আমার বড় বোন প্রেমের সম্পর্কে জড়ায়। পরে পরিবারের অমতে তারা পালিয়ে বিয়েও করেন। মিজান মাদকাসক্ত ছিলো। বিয়ের পর থেকে আমার বড় বোনের কাছ থেকে মাদক সেবনের জন্য প্রতিদিনই টাকা চাইতো। টাকা না পেলেই মারধর করতো। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে তাদের মধ্যে মাদকের টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে স্বামী মিজান আমার বড় বোনকে গলা টিপে হত্যা করে। তাদের পরিবারে কোন সন্তান নেই।

চকরিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) চম্পক বড়ুয়া বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে জনতার সহায়তায় স্বামী মিজানুর রহমানকে আটক করা হয়। স্বামী নিজেই স্বীকার করেছে সে গলা টিপে স্ত্রীকে হত্যার। নিহত ফাতেমার মরদেহের প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করা হয়েছে।

চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক তামিমুল হাসান বলেন, স্খানীয় কয়েকজন যুবক ফাতেমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালের আনার আগেই ফাতেমা মারা যায়।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামী মিজানুর রহমানকে আটক করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।