চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি ::
সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে সৃষ্ট প্রবল বর্ষণে কক্সবাজারের চকরিয়ার কাকারা-মানিকপুর সড়কের ফাইতং খালের ওপর নির্মিত পাকা সেতুর গোড়ার মাটি সরে গিয়ে সেতুটি দেবে যায়। এ অবস্থায় তক্তা ও বাঁশ দিয়ে বিকল্প সেতু নির্মাণের কাজ শেষ না হওয়ায় গত ২৬ দিন ধরে চকরিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে অন্তত ২০ হাজার মানুষের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ২০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটির মাঝখানের দুটি পিলারের গোড়ার মাটি সরে গিয়ে দেবে গেছে। একই সঙ্গে বিলীন হয়ে যায় সংযোগ সড়কটির প্রায় ৬০ ফুট অংশের মাটিসহ ম্যাকাডম।
সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম বলেন, ‘ফাইতং খালের পানির প্রবাহ ঠিক রেখে লোহার এঙ্গেল, তক্তা ও গাছ-বাঁশ দিয়ে এই বিকল্প সড়কটি তৈরির কাজ কয়েক দিনের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করছি। এর পর বিকল্প সড়ক দিয়ে হালকা যানবাহনও চলাচল করতে পারবে।’
কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থী মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘এই সেতুটির ওপরই নির্ভরশীল মানিকপুরসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষের চলাচল। তাই বিকল্প বা অস্থায়ী সড়ক নয়, নতুন করে স্থায়ী পাকা সেতু নির্মাণ করা উচিত।
ভুক্তভোগী একাধিক কৃষক জানান, সেতুটি দেবে যাওয়ার কারণে প্রান্তিক কৃষকরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাঁদের উৎপাদিত ফসল তাঁরা চকরিয়া সদরে নিতে পারছেন না।
এ ব্যাপারে এলজিইডি চকরিয়া উপজেলা প্রকৌশলী সাফায়াত ফারুক চৌধুরী বলেন, ‘দেবে যাওয়া সেতুটি অপসারণপূর্বক নতুন করে স্থায়ী সেতু নির্মাণ করা হবে। এ জন্য নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, নতুন করে সেতু নির্মাণকাজ শুরু না হওয়া পর্যন্ত বিকল্প পন্থায় যাতে হালকা যান ও জন চলাচল স্বাভাবিক রাখা যায় সে জন্য অস্থায়ী সেতুসহ সড়ক নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।
পাঠকের মতামত: