নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের অধিনস্থ কাকারা বনবিটের আওতাধীন ২০০৩-০৪ সনের সৃজিত সামাজিক বনায়ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এসময় বনবিভাগের জায়গায় অবৈধ দখল করে বসতি নির্মাণকালে দখল উচ্ছেদ করে অন্তত ১একর পরিমাণ বনভূমি দখলমুক্ত করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকালে এ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।
কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো: মাজহারুল ইসলামের সার্বিক সহযোগীতায় কাকারা বনবিট কর্মকর্তা কামরুল হাসানের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করেন।
বনবিভাগ সূত্রে জানাগেছে, কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের কাকারা বনবিটের সৃজিত বনায়নের জায়গায় দখল করে অবৈধ ভাবে স্থাপনা নির্মাণ করে কতিপয় ভূমিদস্যু চক্র। অবৈধ স্থাপনা তৈরির সংবাদ পেয়ে রেঞ্জ কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলামের নির্দেশনায় বৃহস্পতিবার বিকেলে অভিযান চালায় কাকারা বনবিটের একদল বনকর্মী।
বনবিট কর্মকর্তা কামরুল হাসানের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে ২০০৩-০৪ সনের ৫০হেক্টর সৃজিত সামাজিক বনায়ন এলাকা থেকে অবৈধ গড়ে তোলা বাঁশের তৈরি বসতঘর উচ্ছেদ করে গুড়িয়ে দেয়া হয়। উচ্ছেদ অভিযানে সময় অবৈধ দখলদারেরা অভিযানের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার কারণে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
অভিযানের সময় কাকারা বনবিটের স্টাফ, হেডম্যান, ভিলেজার ও সৃজিত বনায়নের উপকারভোগী সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বনবিভাগের ফাঁসিয়াখালী ও ফুলছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বলেন, উত্তর বনবিভাগের ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের অধিনস্থ কাকারা বনবিটের ২০০৩-০৪ সনের ৫০হেক্টর সৃজিত সামাজিক বনায়নের জায়গায় একদল ভূমিদস্যু চক্র অবৈধ দখলদার হিসেবে ঘর নির্মাণ করে জায়গা দখলের চেষ্টা চালায়।
খবর পেয়ে কাকারা বনবিট কর্মকর্তা কামরুল হাসানের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে অবৈধ ভাবে গড়ে তোলা ঘর গুড়িয়ে দিয়ে দখল উচ্ছেদ করা হয়। অবৈধ দখলদারকে বনবিভাগের জায়গা থেকে উচ্ছেদ করে প্রায় ১ একর মতো জায়গা বনবিভাগের নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এনিয়ে দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।##
পাঠকের মতামত: