ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় শতশত একর ধানক্ষেতে জলবদ্ধতার প্রতিবাদ করায় রক্তাক্ত কৃষক

মোঃ নিজাম উদ্দিন, চকরিয়া :: চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নে খালের লবনাক্ত পানি ঢুকিয়ে ধ্বংসের মুখে শতশত একর চাষাবাদ। ফসল হারানোর আতংকে নির্ঘুম দিন কাটাচ্ছে অন্তত ৫ শতাধিক কৃষক পরিবার। এর বিরুদ্ধে কথা বলায় মফিজুর রহমান নামের এক কৃষককে গুরুতর আহত করেছে।
শুক্রবার দুপুরের দিকে খুটাখালীর হফেজখানা সড়কের দিগন্ত স্কুল সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত কৃষক খাসঘোনা এলাকার মৃত আবদুল খালেকের পুত্র। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, খুটাখালী ৩নং ওয়ার্ড হেতালিয়া পাহাড় এলাকার বাসিন্দা নুরুল হোসনের ছেলে মোঃ কাজল রাবারড্যাম সংলগ্ন একটি মৎসঘেরে মাছচাষ করে। কিছুদিন আগে তিনি সকল মাছ তুলে নিয়ে যান। যাওয়ার সময় প্রায় ৩০ ও ৪০ ফুট প্রশস্ত দুটি পানি অপসারণের পথ উন্মুক্ত রেখে যায়। ওই পথ দিয়ে বর্তমানে পার্শ্ববর্তী খাল থেকে জোয়ারের লবনাক্ত পানি প্রবেশ করে জলবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে খাসঘোনা, মিয়াছার ঘোনা, কালাইয়া ঘোনা, মৌলভীর ঘোনাসহ বাককুমের ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় পাঁচশ একর জমির ফসল হুমকির মুখে রয়েছে। এনিয়ে অন্যান্য কৃষকদের মতো মফিজও প্রতিবাদ করায় তার উপর হামলা চালিয়েছে।
আরো জানা গেছে, ঘটনার দিন সকালে খুটাখালী বাজারে কিছু মাছ বিক্রি করতে আসেন মফিজ। সেখান থেকে ফেরার সময় অভিযুক্ত মোঃ কাজল ও তার দলবল নিয়ে দেশীয় তৈরি লোহার অস্ত্রসস্ত্রসহ মফিজের পথ গতিরোধ করে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে উপুর্যুপরি হামলা চালায়। পার্শ্ববর্তীরা এগিয়ে আসতে দেখলে মফিজের পকেট থেকে নগদ টাকা ও দামী মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। লোকজন মাথায় গুরুতর জখম প্রাপ্ত রক্তাক্ত আহতকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। এ হামলার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানা গেছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত কাজলের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোনের সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য ওয়াসিম আকরাম কৃষকের উপর হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করার ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করেন। এছাড়া খালের জোয়ারের লবনাক্ত পানি ঢুকিয়ে জলবদ্ধতায় কৃষকদের শতশত একর জমির ফসল ধ্বংস হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

পাঠকের মতামত: