এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :::
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের বহলতলী মৌজার বেশির ভাগ লবণ মাঠে গত একমাস ধরে তান্ডব চালাচ্ছে অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা। লবণ চাষী ও কর্মচারীদেরকে অস্ত্রের মুখে জিন্মি করে মারধরের পর দুর্বৃত্তরা লুটে নিচ্ছে উৎপাদিত লবণ ও লবণ তৈরীর উপকরণসহ বিপুল মালামাল। ইতোমধ্যে শতাধিক লবণ মাঠে লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ অবস্থার কারনে স্থানীয় অন্তত ৭শত লবণ চাষীদের মাঝে চরম আতঙ্ক ও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। ভুক্তভোগী চাষীরা এব্যাপারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের বহলতলী মৌজার অধীনে উত্তরঘোনা, চিলখালী, পেটভরা, বাইলাঘোনা, মাছছাজোড়া, অমলদরি এলাকায় প্রতিবছরের মতো চলতি মৌসুমেও প্রায় ৪ হাজার একর জমিতে লবণ চাষ করা হচ্ছে। এখানে লবণ চাষের সাথে জড়িত রয়েছে অন্তত ৭শতাধিক চাষী। ইতোমধ্যে লবণ উৎপাদন শুরু হয়েছে।
ভুক্তভোগী চাষীরা জানিয়েছেন, লবণ উৎপাদন শুরু হওয়ার পর গত একমাসে বহলতলী মৌজার বেশির ভাগ লবণ মাঠে তান্ডব চালিয়েছে বহিরাগত অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা। প্রতিদিন রাতে কোন না কোন লবণ মাঠে হানা দিয়ে দুর্বৃত্তরা চাষী ও কর্মচারীদেরকে অস্ত্রের মুখে জিন্মি করে মারধরের পর লুটে নিচ্ছে লবণ ও লবন তৈরীর উপকরণসহ বিপুল মালামাল। ইতোমধ্যে শতাধিক লবণ মাঠে হানা দিয়ে দুর্বৃত্তরা লুটে নিয়ে গেছে প্রায় ১০লাখ টাকার মালামাল। বর্তমানে এসব অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা মাসিক ভিত্তিতে চাঁদা দেয়ার জন্য লবণ চাষীদেরকে বাধ্য করছেন বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে। এ অবস্থার কারনে বহলতলী মৌজার লবণ চাষীদের মাঝে চরম আতঙ্ক ও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
জানতে চাইলে খুটাখালী নাগরিক কমিটির চেয়ারম্যান সাংবাদিক এমএইচ আরমান চৌধুরী বলেন, বহলতলী মৌজার বেশির ভাগ লবণ মাঠে বহিরাগত অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা তান্ডব চালাচ্ছে বলে চাষীরা অভিযোগ করেছেন। অতীতে লবণ মাঠে রাতের বেলায় হামলা ও তান্ডব চালানোর কোন ঘটনা ঘটেনি। এবারই প্রথম এই রকম অপরাধ প্রবণতা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, লবণ চাষীদেরকে আর্থিক ক্ষতি থেকে রক্ষা ও তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থারকে অভিযান তৎপরতা জোরদার করতে হবে। না হলে এখানকার লবণ মাঠ ছেঁড়ে চাষীরা পালিয়ে যেতে বাধ্য হবে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.জহিরুল ইসলাম খাঁন বলেন, লবণ মাঠে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। #
পাঠকের মতামত: