এম.মনছুর আলম, চকরিয়া ::
কক্সবাজারের চকরিয়ায় সারা দেশের ন্যায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে কঠোর লকডাউন কার্যকর নিশ্চিতে মাঠে নেমেছে চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সাংসদ আলহাজ্ব জাফর আলম ও উপজেলা প্রশাসন।
ঘোষিত লকডাউনের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার (১জুলাই) সকাল ৮টা থেকে উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে এবং চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে পুলিশ ও সেনা বাহিনীর যৌথ টহল শুরু হয়েছে।
সাতদিনের সরকারি ‘বিধি-নিষেধ বা কঠোর ‘
লকডাউন কার্যকরে ও বাস্তবায়নে সকাল থেকে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মাঠে নেমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন কক্সবাজার-১ আসনের সাংসদ জাফর আলম। এছাড়াও প্রশাসনের দুইজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নেতৃত্বে বিভিন্ন স্থানে বাজার, মার্কেট ও শপিংমল মনিটরিংয়ে মাঠে নেমেছে চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
মাঠ পর্যায়ে লকডাউন কার্যকর করার নিশ্চিতে ও বাজার মনিটরিংয়ে অভিযানের নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ শামসুল তাবরীজ এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর হোসেন। এ দুই কর্মকর্তার নেতৃত্বে বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় টহল জোরদার পাশাপাশি অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, কিছু মালবাহী গাড়ী চলাচল করলেও গণপরিবহন কোথাও চোখে পড়েনি। তবে কিছু ব্যাটারী চালিত রিকশা, টমটম ও কিছু সিএনজি অটোরিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে। মুদিও দোকান ও বেকারী খোলা থাকলেও হোটেল রেস্টুরেন্ট বন্ধ রয়েছে। মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ছাড়া
দোকানসহ বিভিন্ন মার্কেট ও শপিংমল বন্ধ দেখা যায়। সড়কে মানুষের চলাচলও অন্যান্য সময়ের চেয়ে অনেকটা কম লক্ষ্য করা যায়।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ শামসুল তাবরীজ বলেন, করোনা ভাইরাস রোধে সরকার এক সপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউন ঘোষনা করেন। সরকারী নির্দেশনায় মানুষের চলাচলে ‘বিধি-নিষেধ’ আরোপ করে ২১ দফা নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে ও জনগণকে সতর্ক করতে প্রশাসন সকাল থেকে মাঠে কাজ করছেন। কোন জরুরী কোন প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাহিরে গেলেই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। জনগণকে সরকারি বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে কঠোর নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।##
পাঠকের মতামত: