ঢাকা,শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় মহাসড়কের ফুটপাত থেকে ৩০০ অবৈধ ভাসমান দোকান উচ্ছেদ, ৫৯ হাজার টাকা জরিমানা

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়া পৌরসদরের এক কিলোমিটার এলাকার ফুটপাত থেকে অন্তত তিনশতাধিক ভাসমান দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার মো.ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাতের নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসন এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় সড়কে অবৈধ পাকিং করার অপরাধে তিনটি যানবাহন ও ফুটপাত দখলের অভিযোগে বেশ কজন দোকানীকে ৫৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পর্যটন জেলা কক্সবাজারের প্রবেশদ্বার চকরিয়া। এই উপজেলা সদর অতিক্রম করে প্রতিদিন কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কে হাজারো যানবাহন চলাচল। এ অবস্থার কারনে চকরিয়া পৌরশহরে নিত্যদিন যানজটের সৃষ্টি হয়।

পৌরশহরের ত্রি-লাইন বিশিষ্ট সড়কের দু’পাশে অবৈধভাবে গড়ে তোলা অবৈধ ভাসমান দোকান সমুহের কারনে যানজটের ত্রাহি অবস্থা অনেকদিনের পুরানো। মুলত সড়কটির উভয়পাশ ভাসমান দোকান ও ছোট গাড়ির দখলে থাকায় এ অবস্থার উদ্ভব ঘটেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পৌরশহরের বক্স রোড়েও নিয়মনীতির বালাই নেই। ছোট-বড় গাড়ি পাল্লা দিয়ে চলার পাশাপাশি সড়কের উপর দাঁড়িয়ে যাত্রী উঠানামা করানো হয়। এই যানজট থেকে জনদুর্ভোগ লাগবে গতকাল বুধবার সকাল থেকে অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমান আদালত।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার মো.ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাতের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে চকরিয়া পৌরশহরের এক কিলোমিটারের অধিক মহাসড়ক থেকে অন্তত ৩’শ ভাসমান দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে। ওইসময় সরিয়ে দেয়া হয়েছে যত্রতত্র পাকির্ং করা ছোট-বড় গাড়ি।

অভিযানের সময় বৈধ কাগজ না থাকা এবং বক্স রোড়ে পার্কিং করার অভিযোগে কয়েকটি গাড়ি, মুদি, চায়ের দোকান ও ভাসমান দোকান থেকে ৫৯ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা ভুমি অফিসের অফিস সহকারী তপন কান্তি পাল।

জানতে চাইলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) খোন্দকার মো.ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাত বলেন, সকালে একবার ভাসমান দোকান উচ্ছেদসহ পৌরশহরস্থ সড়ক পরিচ্ছন্ন করেছি। বিকালে আবারও পরিদর্শন করা হবে।

পৌরশহরকে যানজটমুক্ত রাখতে পৌর কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিদিন সরজমিন পরিদর্শন ও মনিটরিং করা হবে। কোনভাবেই কক্সবাজারমুখি পর্যটকসহ স্থানীয় যাত্রী এবং পথচারীদের দুর্ভোগে পড়তে হবেনা।##

পাঠকের মতামত: