নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) চকরিয়া বিদ্যুৎ বিভাগে কর্মরত উপসহকারি প্রকৌশলী মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে। খোদ অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী জরুরী সভা ঢেকে তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে লেজুরেশনও করেছে। উল্লেখিত লেজুরেশনের আলোকে অভিযুক্ত উপসহকারি প্রকৌশলী মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আবেদন জানিয়ে গত ২৮ সেপ্টেম্বর বিদ্যুৎ বিভাগ কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
লিখিত লেজুরেশনে স্বাক্ষর দিয়েছেন চকরিয়া বিদ্যুৎ অফিসের সহকারি হিসাবরক্ষক আবদুল গণি, তড়িৎবিদ ইসহাক গাজী, লাইনম্যান আবদুল বাতেন, সাহায্যকারী শওকাত হোসেন, তড়িৎবিদ সঞ্জয় হালদার, সাহায্যকারী নৃপেন মণ্ডল, সিনিয়র মিটার পরিদর্শক আমির হোসেন, নিন্মমান সহকারি, মিটার পাঠক, এসবিএসি, ভান্ডার রক্ষক, নিরাপত্তা প্রহরী, কম্পিউটার অপারেটর থেকে শুরু করে অস্থায়ী মিটার রিডার, অস্থায়ী ডিসিএস কালেকশন, অস্থায়ী টেকনিশিয়ান পদে কর্মরত মোট ৫২জন কর্মকর্তা-কর্মচারী।
তাঁর আগে জাতীয় বিদ্যুৎ শ্রমিকলীগ চকরিয়া উপজেলা কমিটির সভাপতি সম্পাদকের কাছে অভিযুক্ত উপসহকারি প্রকৌশলী মেহেদী হাসানের অনিয়ম দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ করেন একই অফিসের মিটার পাঠক মো.হাসান আলী খান। তাঁর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২৩ সেপ্টেম্বর জাতীয় বিদ্যুৎ শ্রমিকলীগ চকরিয়া উপজেলা কমিটি জরুরী সভা আহবান করেন। সহকারি হিসাবরক্ষক আবদুল গনীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত থেকে অভিযুক্ত উপসহকারি প্রকৌশলী মেহেদী হাসানের অনিয়ম দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার বিশদ বিবরণ তুলে ধরে বক্তব্য দেন সংগঠনের নেতা মো.ইসহাক গাজী, আবদুল বাতেন, সঞ্জয় হালদার, শওকাত হোসেন, নৃপেন মণ্ডলসহ নেতৃবৃন্দ।
সভায় জানানো হয়, অফিসের মিটার পাঠক হাছান আলী খান গত ২২ সেপ্টেম্বর একজন গ্রাহকের কাজ নিয়ে অভিযুক্ত উপসহকারি প্রকৌশলী মেহেদী হাসানের রুমে গেলে তাঁর কাছে অনৈতিকভাবে ঘুষ দাবি করেন। তাতে রাজি না হলে অপমান করে মিটার পাঠক হাছান আলী খানকে তাঁর রুম থেকে বের করে দেওয়া হয়। সভায় বক্তারা আরও বলেন, অভিযুক্ত প্রকৌশলী মেহেদী হাসান ইতোপুর্বেও একইধরণের ঘটনায় জেরে অফিসের অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে অসৌজন্যমুলক আচরণ করেন।
চকরিয়া বিদ্যুৎ অফিসের একাধিক কর্মচারী অভিযোগ করেছেন, অভিযুক্ত উপসহকারি মেহেদী হাসান মিটার কাস্টমাইজ করার বিপরীতে প্রতি মিটার থেকে দুইশত টাকা করে ঘুষ দাবি করেন। অথচ ওই ফাইলটি আবাসিক প্রকৌশলী ফ্রিতে করে দেন।
অভিযোগ উঠেছে, অভিযুক্ত মেহেদী হাসান সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্প শতভাগ বিদ্যুতায়ন কাজেও অনিয়ম দুর্নীতি করেছে। বিশেষ করে চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের মাইজঘোনার বিভিন্ন পয়েন্টে বিদ্যুৎ বিহীন এলাকায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন প্রকল্পের কাজে সহযোগি জাবেদকে ব্যবহার করে অন্তত ৩০টি খুঁিট স্থাপনকালে অন্তত দেড় লাখ থেকে দুই লাখ টাকার বাণিজ্য করেছে। এছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ সংক্রান্ত সেবাখাতে অনিয়ম দুর্নীতির অহরহ অভিযোগ রয়েছে।
পাঠকের মতামত: