ঢাকা,বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় পুলিশের ৩ সদস্যকে কুপিয়ে জখম, লুন্ঠিত অস্ত্র উদ্ধারসহ আটক ১৫

স্টাফ রিপোর্টার, চকরিয়া :: কক্সবাজারের চকরিয়ায় আসামী ধরতে যাওয়া তিন পুলিশকে কুপিয়ে অস্ত্র (শর্টগান) ছিনতাই করেছে একদল সন্ত্রাসী। ঘটনার ৬ ঘন্টা পর ওই অস্ত্রটি উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশের দাবি। এই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে। গুরুতর আহত পুলিশের তিন সদস্যকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১২ টার দিকে চকরিয়ার বরইতলী ইউনিয়নের মহছনিয়াকাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- এসআই শামীম আল হাসান, কনস্টেবল তরিকুল ও মামুন। তাঁরা চকরিয়া থানার নিয়ন্ত্রণাধীন হারবাং পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ চন্দন কুমার চক্রবর্তী ও অপারেশন অফিসার (এসআই) রাজিব সরকার।

রাজিব সরকার বলেন, গতকাল রাতে হারবাং ফাঁড়ির এসআই শামীম আল হাসানের নেতৃত্বে কনস্টেবল তরিকুল ও মামুন বরইতলী ইউনিয়নের মহছনিয়াকাটা এলাকায় আসামী গ্রেপ্তারের জন্য অভিযানে যায়। পরে এই পুলিশ দল সড়কে তল্লাশি চালানোর সময় রাকিব নামের এক যুবককে তল্লাশি চালাতে চাইলে সে পালিয়ে নিকটবর্তী একটি বাড়িতে ঢুকে চিৎকার-চেচামেচি করে। এতে ওই এলাকার স্থানীয় লোকজন ওই যুবকের শোরচিৎকার শুনে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায়। ওইসময় পুলিশের কাছ থেকে একটি শর্টগান ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

এসময় এসআই শামীম, কনস্টেবল তরিফুল ও মামুনকে মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন অংশে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে তাঁরা। এতে এক পুলিশ সদস্যের হাতের আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়। পরে থানা ও ফাঁড়ি পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে রেফার করা হয়। বর্তমানে তারা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

পারে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, ছিনতাই হওয়া শর্টগান বুধবার সকাল ৬ টায় মহছনিয়াকাটা থেকে উদ্ধার হয়েছে। এসআই শামীমসহ দুই কনস্টেবলকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। তবে মামলার স্বার্থে আটককৃতদের নাম জানাতে অপরাগতা প্রকাশ করেন তিনি।

পাঠকের মতামত: