ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় ধানের শীষ প্রার্থীর নেতা-কর্মীদের পুলিশ-বিজিবির লাঠিচার্জ, তিন নেতা গ্রেপ্তার ও আহত ১০ 

প্রতীকি ফাইল ছবি…
বার্তা পরিবেশক ::
কক্সবাজারের বৃহত্তর উপজেলা চকরিয়ায় এবার পুলিশ-বিজিবি ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের হামলায় আহত হয়েছেন বিএনপি প্রার্থী এডভোকেট হাসিনা আহমদের অন্তত ১০ জন নির্বাচনী কর্মী। ওই সময় পুলিশ চিরিঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি ও সাবেক ইউপি মেম্বার আবদুল সাবেদ ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আবছারকে আটক করে নিয়ে গেছে পুলিশ।

বুধবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেল পৌণে ৩টার দিকে চিরিঙ্গা ইউনিয়নের পালাকাটা স্কুল সামনে ও বুড়িপুকুর রাস্তার মাথায় এই ঘটনা ঘটে।

বিএনপি দাবি করেছে, পুলিশ মঙ্গলবার রাতে তল্লাশির নামে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভাংচুর চালিয়েছে। ওই সময় চকরিয়া উপজেলা যুবদলের আহবায়ক ইব্রাহিম খলিল কাকনকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় পুলিশ।

সূত্র মতে, কক্সবাজার-০১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এডভোকেট হাসিনা আহমদ ওই এলাকায় গণসংযোগে আসার কথা ছিল। সেই মতে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা তাঁকে স্বাগত জানাতে বেলা আড়াইটার দিকে পালাকাটা স্কুলের সামনে ও বুড়িপুকুর রাস্তার মাথায় জড়ো হয়েছিলেন। পুলিশ ও বিজিবির পৃথক দুইটি গাড়ি এসে জড়ো হওয়া নেতা-কর্মীদের উপর লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এই হামলায় তাদের সাথে যোগ দেয় একদল আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী। ওই সময় সাধারণ পথচারিসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

বিএনপি প্রার্থী এডভোকেট হাসিনা আহমদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, বুধবার (১৯ ডিসেম্বর) চিরিঙ্গা ইউনিয়নে গণসংযোগ ও পথসভা করার জন্য মঙ্গলবারই পুলিশের অনুমতি নেয়া হয়েছে। অথচ পুলিশ অনুমতি দিয়েও গণসংযোগ ও পথসভার প্রস্তুতি নেয়া নেতা-কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে এবং দুইজন নেতা ধরে নিয়ে গেছে।

চকরিয়া-পেকুয়া আসনে বিএনপি প্রার্থী এডভোকেট হাসিনা আহমদ এক প্রেসনোটে জানিয়েছেন, বুধবার চকরিয়া উপজেলার চিরিঙ্গা ইউনিয়নে ধানের শীষের গণসংযোগ করার কথা ছিল। কিন্তু সন্ত্রাসিদের অব্যাহত হুমকি ও নেতা-কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে পুলিশের অভিযান এবং চকরিয়া উপজেলা যুবদলের আহবায়ক ইব্রাহিম খলিল কাকনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করায় এলাকায় চরম আতংক বিরাজ করছে। পুরো এলাকা পুরুষ শূণ্য হয়ে পড়েছে।

তিনি প্রেসনোটে বলেন, ১৯ ডিসেম্বর সকাল থেকে মগবাজার এলাকায় সন্ত্রাসিরা জড়ো হয়ে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিলেও পুলিশও সেখানে অসহায় মনে হচ্ছে।

এদিকে প্রেসনোট দেয়ার পরে চিরিঙ্গা ইউনিয়নের পালাকাটা এলাকায় পুলিশ-বিজিবি ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের হামলার ঘটনা ঘটেছে।

তিনি বলেন, পুলিশের পরামর্শ নিয়েই আজ বুধবার বেলা দুইটার পর গণসংযোগের প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। কিন্তু সেই পুলিশই গণসংযোগে প্রস্তুতিরত নেতা-কর্মীদের লাঠিচার্জ ও গ্রেপ্তার করেছে।

এই ধরণের ঘটনায় নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃংখলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটছে।

পাঠকের মতামত: