নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::
কক্সবাজারের চকরিয়ায় দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজাকে কেন্দ্র করে সংঘাত-সহিংসতায় পৃথক তিনটি মামলা রুজু করা হয়েছে থানায়। অপরদিকে পেকুয়া থানায় ২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে । এ দুটি মামলায় আসামী করা হয়েছে এজহারনামীয় ১৫১ জনসহ অজ্ঞাতনামা ১১/১২ শত জনকে।
আজ বুধবার (১৬ আগস্ট) রাতে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আল ফোরকান বাদী হয়ে দু’টি এবং ঘটনার সময় নিহত ভিকটিম ফোরকানুল ইসলামের স্ত্রী নুরুচ্ছফা বেগম বাদী হয়ে একটি মামলা রুজু করেন।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাহমুদ জানান, অন্তর্ঘাতমূলক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে নাশকতার দায়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে এবং সরকারি কাজে বাধা, পুলিশ আক্রান্ত, গাড়ি ভাঙচুরের দায়ে পুলিশের পক্ষ থেকে দু’টি মামলা রুজু করা হয়েছে। দু’টি মামলাতেই এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে ৭৫ জন করে। দুইটাতেই অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে প্রায় ৩ হাজার জন করে।
ওসি আরও জানান, সংঘাত-সংঘর্ষের সময় নিহত ব্যক্তির স্ত্রী নুরুচ্ছফা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাত ২ হাজার জনের বিরুদ্ধে লিখিত এজাহার দিলে তা মামলা হিসেবে রুজু করা হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত কোনো আসামি গ্রেফতার করা যায়নি।
এদিকে, পুলিশ পাহারায় আজ দুপুরে দাফন-কাফন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে নিহতের। এর আগে ময়নাতদন্ত কার্যক্রম শেষে দুপুরে লাশ হস্তান্তর করা হয় পরিবারের কাছে।
পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের আবদুল বারী পাড়াস্থ মসজিদ মাঠে অনুষ্ঠিত জানাজায় অংশ নিয়ে বক্তব্য দেন কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলম। এ সময় এমপি নিহতের পরিবারকে ১ লক্ষ টাকা সহায়তা দেন।
নিহতের স্ত্রীসহ পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে নিহত ফোরকানুল ইসলাম জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না যদিও নিহতকে জামায়াত তাদেরই কর্মী বলে দাবি করেছেন।
এদিকে, পেকুয়ায় সাঈদীর গায়েবানা জানাজাকে কেন্দ্র করে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় দু’টি মামলা হয়েছে পেকুয়া থানায়।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় পেকুয়া থানার এসআই মুফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে পেকুয়া থানায় মামলা দু’টি রুজু করেন।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ওমর হায়দার জানান, গতকাল ১৫ আগস্ট সাঈদীর জানাজাকে কেন্দ্র করে বারবাকিয়া বাজারে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় পেকুয়া থানার এসআই মুফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে ২টি মামলা দায়ের করেছেন। এতে প্রতিটি মামলায় এজহারনামীয় ১৫১ জনসহ অজ্ঞাত আরো ১১শ’ হতে ১২শ’ জনকে আসামী করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আমিসহ ১৫-২০ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। আহতদের পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আহত অন্য পুলিশ সদস্যরা হলেন মোহাম্মদ ওমর হায়দার, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুদীপ্ত শেখর ভট্টাচার্য্য, এসআই মুফিজুল ইসলাম, রুকনুজ্জামান, অমর বিশ্বাস, শামীমউদ্দিন, এএসআই অর্পন সেন, রইসউদ্দিন ও জসিম উদ্দিন প্রমুখ।”
পাঠকের মতামত: