এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :: চকরিয়া উপজেলার চিরিঙ্গা ইউনিয়নের পশ্চিম সওদাগর ঘোনা বাপের বাড়িতে অবস্থানকালে স্বামীর সঙ্গে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর আপত্তিকর ভিডিও দেখে মারা গেছেন আসমাউল হুসনা লিমা (২৭) নামের এক গৃহবধু। সোমবার বিকাল আনুমানিক চারটার দিকে বাপের বাড়িতে ঘটেছে এ ঘটনা। খবর পেয়ে চকরিয়া থানা পুলিশ ওই গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। এদিকে নির্যাতিত গৃহবধুর মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
নিহত আসমাউল হুসনা লিমা চকরিয়া উপজেলার চিরিঙ্গা ইউনিয়নের পশ্চিম সওদাগর ঘোনা গ্রামের আবু ওমরের কন্যা। স্বামীর নাম আবদুল্লাহ আল নোমান। তাঁর বাড়ি লামা উপজেলার ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের হায়দারনাশী স্কুলের পাশের গ্রামে। ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চিরিঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান জসীম উদ্দিন।
নিহতের স্বজনরা জানিয়েছেন, বছর আগে লামা উপজেলার ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের হায়দারনাশী এলাকার আবদুল্লাহ আল মামুনের ছেলে আবদুল্লাহ আল নোমানের সঙ্গে সামাজিকভাবে বিয়ে হয় চকরিয়া উপজেলার চিরিঙ্গা ইউনিয়নের পশ্চিম সওদাগর ঘোনা গ্রামের আবু ওমরের কন্যা আসমাউল হুসনা লিমার।
বিয়ের পর আসমাউল হুসনা লিমা জানতে পারেন তাঁর স্বামী আগে আরো একটি বিয়ে করেছিলো। তবে তাকে তালাক দিয়েছেন। এ ঘটনার জেরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয়। সর্বশেষ এরই জেরে ঝগড়া-বিবাদের একপর্যায়ে স্বামীর শারিরীক ও মানসিক নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে এক সন্তানের জননী গৃহবধু লিমা চকরিয়া উপজেলার সওদাগর ঘোনায় পিত্রালয়ে চলে আসে।
নিহতের পরিবার সদস্যরা জানান, সোমবার দুপুরে স্বামী আবদুল্লাহ আল নোমান চকরিয়া উপজেলার চিরিঙ্গা ইউনিয়নের শ^াশুড় বাড়িতে এসে মোবাইল থেকে তালাকপ্রাপ্ত আগে স্ত্রীর সাথে করা আপত্তিকর কিছু ভিডিও গৃহবধু আসমাউল হুসনা লিমাকে দেখিয়ে নিজ বাড়িতে চলে যান। এরপর বিকাল চারটার দিকে বাড়ির একটি কক্ষ থেকে উদ্ধার করা হয় গৃহবধু লিমার মরদেহ।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.হাবিবুর রহমান বলেন, মরদেহ উদ্ধারের সময় তাঁর শরীরে আঘাতের কোন আলামত পাওয়া যায়নি। তবে কী কারণে গৃহবধু মারা গেছেন সেটি সনাক্ত করতে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়।
গতকাল মঙ্গলবার ময়না তদন্ত শেষে চকরিয়ায় বাপের বাড়ির পাশে মসজিদ কবরস্থানে নিহতের লাশ দাফন করা হয়েছে। এব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু হয়েছে। #
পাঠকের মতামত: