ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় চিংড়িজোন ইলিশিয়ায় র‌্যাব-ডাকাতদলের মধ্যে ঘন্টাব্যাপী বন্দুকযুদ্ধ, নিহত-২, আটক-২

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার চিংড়িজোন হিসেবে খ্যাত পশ্চিম বড় ভেওলাস্থ ইলিশিয়ার ডেবডেবী এলাকায় র‌্যাবের সঙ্গে সশস্ত্র ডাকাতদলের ঘন্টাব্যাপী বন্দুকযুদ্ধ হয়েছে। এসময় ডাকাত দল ও র‌্যাবের মধ্যে শতাধিক রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়েছে। এক পর্যায়ে ডাকাতরা পিছু হটলে তাদের ফেলে যাওয়া ঘটনাস্থল থেকে দুইজনকে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ, ধারালো অস্ত্রসহ আটক করা হযেছে। সোমবার ৬ ডিসেম্বর ভোররাতে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

বন্দুকযুদ্ধে নিহত দুই ব্যক্তির মধ্যে চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাট ছগিরশাহ কাটা এলাকার নারায়ণ দাশের ছেলে বাবুল দাশ (৩৫) ও অপর একজনের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। এসময় আটক করা হয় উপজেলার পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নজির আহমদের ছেলে আবুল কালাম (৪৫) ও চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের মল্লিক ছোবহান গ্রামের আবদুর রউফ এর ছেলে শাহনেওয়াজ টিপু (৫০)।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, লিজমূলে বৈধ মালিক মোয়াজ্জেম হোসাইন শাওন নামের এক ব্যক্তির মালিকানাধীন ও দখলীয় ৫৫০ একরের চিংড়ি প্রকল্পটি স্থানীয় বাসিন্দা ও জেলা পরিষদের সদস্য আবু তৈয়বের নেতৃত্বে একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট জোরপূর্বক জবর-দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছিল দীর্ঘদিন ধরে। এরই অংশহিসেবে রোববার দিবাগত রাত একটার পর থেকে ওই প্রকল্পে অন্তত শতাধিক সশস্ত্র ডাকাত-সন্ত্রাসী অবস্থান নেয়।

গোপন সংবাদে খবর পেয়ে সেখানে অভিযানে যায় র‌্যাব কক্সবাজার ক্যাম্পের একটি টিম। এ সময় র‌্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে ডাকাতরা র‌্যাবকে লক্ষ্য করে অন্তত ৪০ থেকে ৫০ রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে। জবাবে র‌্যাবও পাল্টা গুলি ছুঁড়ে। পরে ডাকাত-সন্ত্রাসীদল পিছু হটে।

অভিযানের একপর্যায়ে র‌্যাব ঘটনাস্থল থেকে দুইজনকে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ, ধারালো অস্ত্রসহ আটক করে। বন্দুকযুদ্ধের সময় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকা দুইজনকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেচলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করে।

অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়ানের উপ-পরিচালক (গণমাধ্যম) এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপের অংশ হিসেবে মামলার প্রস্তুতি ও অস্ত্র-গোলাবারুদসহ আটককৃতদের থানায় সোপর্দ করা হবে।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গণি বলেন, চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মরদেহ দুইটি পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক সুরতহাল রির্পোট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

 

 

পাঠকের মতামত: