মামুনুর রশিদ, নিজস্ব প্রতিবেদক-চকরিয়া :: চকরিয়ায় রামপুর চিংড়ি জোন এলাকায় ডাকাতির চেষ্টা ভণ্ডুল করে দিয়েছে ঘের মালিকরা। সংঘবদ্ধ সশস্ত্র একদল ডাকাত চিংড়িঘেরে ডাকাতির প্রস্তুতি নেওয়ার সময় ঘেরে কর্মচারীদের টহলের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ঘের মালিক ও স্থানীয় জনতা ধাওয়া দিয়ে মীর কাসেম (২৬) নামের এক ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে।
এ সময় ধৃত ডাকাতের কাছ থেকে দেশীয় তৈরি একটি (এলজি) একনলা বন্দুক ও একটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। ধৃত ডাকাত মীর কাসেম মহেশখালী উপজেলার কালামারছড়া ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের আকবর হাজি পাড়া এলাকার আবদুর রশিদের ছেলে। রবিবার ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে সাহারবিল ইউনিয়নের রামপুর মৌজার চিংড়ি জোন এলাকার ৪নম্বর পোল্ডারস্থ ফরিদুল আলমের চিংড়ীঘেরের রাস্তার উপরে এ ঘটনা ঘটে।
চকরিয়া থানা পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, রবিবার ভোররাতে রামপুর চিংড়ি জোনে ডাকাতির উদ্দেশ্যে বেশ কয়েকজন সশস্ত্র ডাকাত ৪নম্বর পোল্ডারস্থ ফরিদুল আলমের চিংড়ীঘেরের রাস্তায় অবস্থান নেয়। ঘের কর্মচারীর উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতদলের সদস্যরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
এসময় স্থানীয়দের সহায়তায় ঘের মালিকরা ধাওয়া দিয়ে এক ডাকাতকে অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার করে। এতে চিংড়ীঘেরের বড় ধরণের ডাকাতির চেষ্টা ভণ্ডুল হয়ে যায়। পরে পুলিশকে খবর দিলে থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) এ.কে,এম সফিকুল আলম চৌধুরীর নির্দেশে উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুল বাতেনের নেতৃত্বে সংঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে। ওই সময় স্থানীয় জনতা ও ঘের মালিকরা ধৃত ডাকাত মীর কাসেমকে অস্ত্র ও গুলিসহ পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) এ.কে এম সফিকুল আলম চৌধুরী চকরিয়া নিউজকে জানান, গ্রেপ্তারকৃত মীর কাসেমর বিরুদ্ধে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ নিজ দখলে রাখার অপরাধে অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করা হয়। দুপুরের দিকে তাকে আদালতে প্রেরণের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
পাঠকের মতামত: