ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় চলাচল পথের বিরোধ নিয়ে হামলা, আহত-১০

চকরিয়া প্রতিনিধি ::  কক্সবাজারের চকরিয়ায় চলাচল পথের বিরোধ নিয়ে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী হামলায় ১০ নারী-পুরুষ আহত হয়েছেন। ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।সোমবার রাত দশটার দিকে উপজেলার পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের বানিয়ারচর মাদ্রাসা পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।এতে আহতরা হলেন, ফরিদা বেগম (৫০), তার ছেলে আব্দুল হামিদ (৩০), মহিব উল্লাহ (২৮), আবু তৈয়ব (২৬), মহিব উল্লাহর স্ত্রী সেতু মনি (২৩), আব্দুল হামিদের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (২৬), আব্দুল জলিলের স্ত্রী এলমুন্নাহার (৩০), ফরিদা বেগমের মেয়ে রুজিনা আকতার (২০), ফরিদা বেগমের ভাই শামশুল আলম (৪৫) ও তাঁর স্ত্রী জুহুরা বেগম (৩৬)।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, একই এলাকার ফরিদা বেগমের সঙ্গে স্থানীয় ফরিদুল আলমের চলাচলের পথ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে। এরই জের ধরে গত সোমবার বিকেলে দিকে দু’পক্ষের মধ্যে ঝগড়া হয়। ওইদিন রাত দশটার দিকে ফরিদা বেগমের পুত্রবধু সেতু মনি আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যেতে বানিয়ারচর মাদ্রাসা পাড়া স্টেশনে যান। ওই সময় ফরিদুল আলমের লোকজন তাদের উপর অর্তকিত ভাবে হামলা চালায়। এ হামলা প্রতিহত করতে এসে তাদের পরিবারের অপর সদস্যদের উপরও দেশীয় তৈরি ধারালো অস্ত্রদিয়ে কুপিয়ে ও বেদড়ক মারধর করে গুরুতর আহত করেন।এ ঘটনায় প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী হামলায় ১০ নারী-পুরুষ আহত হয়।

আহত ফরিদা বেগম বলেন, ফরিদুল আলমের সাথে চলাচলের পথ নিয়ে বিরোধের জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমাদের উপর হামলা চালানো হয়। হামলায় ফরিদুল আলমের নেতৃত্বে মিনহাজ উদ্দীন, মিজান উদ্দিন, আজিজুল হক ওরফে রুবেল, হুমায়ন, জহির উদ্দিন, আলমগীর, মোজাফ্ফর, গুরা মনিয়া প্রকাশ দাদা অংশ নেয়।এতে আমার পরিবারের ১০সদস্যকে কুপিয়ে আহত করেন তারা।ঘটনার বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এ ব্যাপারে চকরিয়া থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ঘটনার বিষয়ে আহতদের পক্ষে এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ভাবে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।

পাঠকের মতামত: