ঢাকা,সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

পরস্পর বিরোধী বক্তব্যে লাশ মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ

চকরিয়ায় ঘরজামাই স্বামীর নির্যাতনে গৃহবধূর মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::
কক্সবাজারের চকরিয়ায় স্বামীর নির্যাতনে রিমা আক্তার (২২) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।  সোমবার ১৭ অক্টোবর খবর পেয়ে থানা পুলিশ উপজেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেছে। নিহত রিমা আক্তার চকরিয়া পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের খোন্দাকার পাড়া গ্রামের মৃত সাহার উদ্দিনের মেয়ে।

নিহতের পরিবার সদস্যরা জানান, দুইবছর আগে চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের বাসিন্দা মোহাম্মদ ইরফানের সঙ্গে বিয়ে হয় রিমা আক্তারের। বিয়ের পরথেকে স্ত্রীকে শাশুড় বাড়িতে ঘরজামাই থাকতো ইরফান। ইতোমধ্যে তাদের সংসারে দেড়বছরের একটি ছেলে সন্তান আছে।

প্রতিবেশি লোকজন জানিয়েছেন, আজ দুপুরে স্বামীর মারধরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন রিমা আক্তার। এসময় নিহতের মা ও চাচা মিলে একটি টমটম গাড়িতে করে আহত রিমা আক্তারকে চকরিয়া উপজেলা সরকারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক শারীরিক চেক-আপ শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

চকরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মো.আবদুল জব্বার বলেছেন, আজ দুপুর আড়াইটার দিকে খবর পেয়ে চকরিয়া থানা পুলিশের একটি দল উপজেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে গৃহবধূর মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। ওইসময় পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরীকালে নিহতের পরিবার ও হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকের দেওয়া তথ্যে গড়মিল দেখা যায়।
তিনি বলেন, নিহতের পরিবার বিনাময়না তদন্তে মরদেহ নিয়ে যেতে চাইলেও গৃহবধূর মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে পরস্পর বিরোধী বক্তব্যে সন্দেহ তৈরী হয়। ফলে সেকারণে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে। পরবর্তীতে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়া গেলে মৃত্যুর কারণ খোলাসা হবে।

চকরিয়া উপজেলা হাসপাতাল থেকে মরদেহটি থানার আনার ঘন্টা পরে নিহতের মা থানার উঠানে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, আমার মেয়ে রিমা আক্তার দীর্ঘদিন ধরে হার্টের রোগী। নিয়মিত তার চিকিৎসা চলছে। আমাদের বাড়িতে ঘরজামাই হিসেবে থাকলেও রিমার সঙ্গে স্বামীর সম্পর্ক ভালো ছিল। কোন ঝগড়া বিবাদ ছিলনা। মুলত আমার মেয়ে স্ট্রোক করে মারা গেছেন।

পাঠকের মতামত: