এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :;
চকরিয়া উপজেলার বেশিরভাগ প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে চরম শিক্ষক সংকট চলছে। পৌরসভার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ১২ থেকে ১৪ জন শিক্ষক সরকারি চাকুরীর নামে অলস সময় কাটিয়ে বেতন-ভাতা উত্তোলন করলেও পৌরসভার কয়েকটি এবং উপজেলার একাধিক বিদ্যালয়ে চলছে শিক্ষক সংকটের এমন দৈন্যদশা। বিষয়টি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ ওয়াকিবহাল থাকলেও দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখাতে র্ব্যথ হচ্ছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন বিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা। এ ধরণের শিক্ষক সংকটের মুখে পড়ে এখন শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া চরম বিঘœ সৃষ্ঠি হচ্ছে উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের খিলছাদক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ওই বিদ্যালয়ে বর্তমানে দু‘শ শিক্ষার্থীর লেখাপড়া করলেও তাদের জন্য আছেন মাত্র ২ জন শিক্ষক।
বিদ্যালয়টিতে প্রধান শিক্ষকসহ বর্তমানে ৩ জন শিক্ষক থাকলেও ইতোমধ্যে বদলীর আদেশ হয়েছেন প্রধান শিক্ষকের। ক্লাস্টারও পরিদর্শনে যান কালে-ভাদ্রে। বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটিও সচল নেই অনেকদিন ধরে। এ অবস্থায় বিদ্যালয়টির শিক্ষাক্রম চলছে খু্িঁড়য়ে খুড়িঁয়ে। এতে করে শিক্ষার্থীরা ধাবিত হচ্ছে প্রাইভেট স্কুলের দিকে।
বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি বেলাল উদ্দিন জানান, প্রাচীনতম বিদ্যালয় খিলছাদক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ছাত্র আছে শিক্ষক নেই। ২০১ জন ছাত্রের জন্য রয়েছে প্রধান শিক্ষক সহ মাত্র ৩ জন। প্রধান শিক্ষকও বদলীর আদেশ নিয়ে অন্যত্রে চলে যাচ্ছেন। মাত্র ২ জন শিক্ষক দিয়ে চলবে বিদ্যালয়টি। ক্লাস্টার অফিসারও এখানে পরিদর্শনে আসেন কালে-ভাদ্রে। এ কারণে প্রাচীনতম এ বিদ্যালয়টি ক্রমশ ছাত্রশুন্য হতে চলছে। বিগত বছর ৪৪ জন শিক্ষার্থী পিএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেছিল। বর্তমানে দেখা গেছে পঞ্চম শ্রেনীতে মাত্র ২১ জন শিক্ষার্থী পড়াশুনা করছে।
বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ছাবের আহমদ জানান, বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটিও ঝুলে রাখা হয়েছে। এ কারণে প্রধান শিক্ষক ও ক্লাস্টার অফিসার মিলে যাচ্ছে-তাই করে যাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন- ৬ জন শিক্ষক যেখানে প্রয়োজন সেখানে মাত্র ৩ জন শিক্ষক রয়েছেন, চুপে চুপে প্রধান শিক্ষকও বদলীর আদেশ নিয়ে পাড়ি জমাচ্ছেন অন্যত্রে। ক্লাস্টার অফিসার বিকাশ বাবু একবছরেও পরিদর্শনে আসেননি। শিক্ষক স্বল্পতার কারণে শিক্ষার্থীরা অন্যত্রে পাড়ি জমাতে বাধ্য হচ্ছে।
ওই বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদ হোছাইন সাঈদী জানান, তিনি থাকেন স্বস্ত্রীক রামুতে। রামু থেকে প্রতিদিন তিনি আসেন বিদ্যালয়ে। এ জন্য তিনি অন্যত্রে বদলীর আদেশ নিয়েছেন। ক্লাস্টার অফিসার ও উপজেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ ধর জানান, শিক্ষক স্বল্পতার বিষয় তাঁর কাছে জানা আছে, দু‘এক দিনের মধ্যে একজন হলেও শিক্ষক দেওয়া হবে।
বিগত একবছরেও বিদ্যালয়ে পরিদর্শনে না যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন- পরিদর্শনে গিয়েছিলেন, প্রধান শিক্ষক আলমিরার চাবি না নেওয়াতে তিনি পরিদর্শন খাতায় দস্তখত করতে পারেননি। #
পাঠকের মতামত: