ঢাকা,বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় কোস্টগার্ড কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে আ.লীগ নেতাকে নির্যাতনের অভিযোগ, গুলিবর্ষণে আহত-১

এম.জাহেদ চৌধুরী, চকরিয়া ::  কোস্টগার্ডের সদস্যরা কক্সবাজারের চকরিয়া বদরখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি শেখ সালাহউদ্দিনকে মুঠোফোনে ডেকে নেয়। তাকে বদরখালীতে স্থাপন করা কোস্ট গার্ড মহেশখালী স্টেশন কার্যালয়ে জিম্মি রেখে শারিরীক নির্যাতন চালায়। এখবর জানাজানি হলে এলাকার শতশত ক্ষুব্ধ জনতা কোস্ট গার্ড কার্যালয় ঘেরাও পূর্বক বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। তারা সালাহউদ্দিনকে ছেড়ে দেয়া এবং কোস্ট গার্ড কার্যালয়ে মহেশখালীতে স্থান্তরের দাবি তুলে।
এই দাবিতে জনতা উত্তাল হয়ে উঠলে কোস্ট গার্ডের কয়েকজন সদস্য ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে। ওইসময় আমির হোসেন (৪২) নামের এক যুবক ছররা গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়। রবিবার বিকেল ৫টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত এই অবস্থা ছিলো বদরখালীতে। ফলে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো.হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে একদল ও বদরখালী পুলিশ ফাঁড়ির আইসি মো.মহসিনের নেতৃত্বে অপর আরেকদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। এতেও ক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত করতে না পারায় রাত ৮টার দিকে ঘটনাস্থলে ছুটে যান স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জাফর আলম।
তিনি কোস্ট গার্ড কার্যালয়ে গিয়ে সালাহউদ্দিনকে ছাড়িয়ে জনতার মাঝে নিয়ে আসেন। ওইসময় জাফর আলম এমপি জনতার উদ্দ্যোশে বলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে সংঘঠিত ঘটনার একটি সুরাহা এবং কোস্টগার্ড কার্যালয় আবারও মহেশখালীতে স্থানান্তরের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
স্থানীয় জনগণ ও আওয়ামীলীগ নেতারা দাবি করে বলেন, কোস্টগার্ডের কতিপয় সদস্য নৌ-চ্যানেল ও সড়ক পথে নিয়মিত চাঁদাবাজি করে আসছিলো। এতে অতিষ্ট ছিলো স্থানীয় জনতা ও ব্যবসায়ীরা। এই চাঁদাবাজির প্রতিবাদে আওয়ামীলীগ নেতা সালাহউদ্দিন মানববন্ধনের ব্যবস্থা করেন। এই আন্দোলনের খবর বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত হলে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রকাশিত হলে মুঠোফোনে সালাহউদ্দিনকে নিজেদের কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে শারিরীক নির্যাতন কওে কোস্টগার্ড। এক পর্যায়ে সালাহউদ্দিনকে ইয়াবাসহ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করার উদ্যোগ নেয়। কিন্তু সবকিছু ভেস্তে যায় আকর্ষিক সংসদ সদস্য জাফর আলম উপস্থিত হওয়ায়।

চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.হাবিবুর রহমান বলেন, ঘটনার পরপরই থানা ও ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আওয়ামীলীগ নেতা শেখ সালাহউদ্দিনকে কোণাখালীর চেয়ারম্যান দিদারুল আলম সিকাদারের কাছে হস্তান্তর করে কোস্টগার্ড। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

পাঠকের মতামত: