ঢাকা,রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ঘুর্ণিঝড় সিত্রাং পরিস্থিতি মোকাবিলায়

চকরিয়ায় উপকূলীয় অঞ্চলে সতর্কতা জারি, প্রস্তুত ৯৬ সাইক্লোন শেল্টার

জনগনকে নিরাপদে যেতে মাইকিং

এম জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::
৬ নম্বর বিপদ সংকেত জানিয়ে যেকোনো মুহুর্তে আঘাত আনতে এগিয়ে চলা ‘ ঘুর্ণিঝড় সিত্রাং’ এর সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার উপকূলীয় অঞ্চলের সাতটি ইউনিয়নের সবর্ত্রে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল থেকে উপকূলীয় জনপদের ইউনিয়ন বদরখালী, কোনাখালী, ঢেমুশিয়া, পশ্চিম বড়ভেওলা, বিএমচর, পুর্ববড় ভেওলা, সাহারবিল ছাড়াও দুর্যোগপ্রবণ এলাকা চিরিঙ্গা ইউনিয়নের সর্বসাধারণকে নিরাপদে নিকটস্থ সাইক্লোন শেল্টারে চলে যেতে উপজেলা প্রশাসন ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবকরা মাইকিং করছেন।

অপরদিকে ঘুর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবিলার অংশ হিসেবে দুর্গত এলাকার জনসাধারণকে নিরাপদে অবস্থান নেওয়ার জন্য চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সার্বিক মনিটরিংয়ের মাধ্যমে উপকূলীয় অঞ্চলে ৯৬ টি সাইক্লোন শেল্টারকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি পরিস্থিতির আলোকে এসব এলাকার দ্বিতীয় বিশিষ্ট স্কুল ও মাদরাসা ভবনকে দুর্গত মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হবে বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

গতকাল দুপুর থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত উপজেলার উপকূলীয় অঞ্চলের বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিদর্শন করেছেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান। তিনি বলেন, ঘুর্ণিঝড় সিত্রাং পরিস্থিতি মোকাবিলায় চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন। তার অংশ হিসেবে গতকাল সকাল থেকে উপকূলীয় অঞ্চলের সাতটি ইউনিয়নে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবকরা জনগনকে নিকটস্থ সাইক্লোন শেল্টারে সরে যেতে মাইকিং করছেন। দুর্যোগ মুহূর্তে জনসাধারণ যাতে নিরাপদে আশ্রয় নিতে পারেন সেইজন্য মোট ৯৬টি সাইক্লোন শেল্টার এবং প্রয়োজনীতার আলোকে স্কুল মাদরাসার দ্বিতীয় বিশিষ্ট একাধিক ভবন প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

ইউএনও জেপি দেওয়ান বলেন, পরিস্থিতির আলোকে দুর্গত জনগণের জন্য তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও দুর্যোগপ্রবণ প্রতিটি ইউনিয়নের মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে একটি করে মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রতিটি মেডিকেল টিম স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিক অথবা ক্ষেত্রবিশেষে আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে চিকিৎসা সেবা দেবে।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) জেপি দেওয়ান আরও বলেন, পরিস্থিতি সার্বিকভাবে মনিটরিংয়ের জন্য উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন মোহনায় জরুরি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সেখান থেকে দুর্যোগপ্রবণ এলাকার খবরা-খবর মুহুর্তে নেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও তাৎক্ষণিক দুর্ঘটনা বা হতাহতের খবর পাওয়া মাত্র সেখানে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে উপজেলা পরিষদে আরও একটি মেডিকেল টিম প্রস্তত রাখা হয়েছে।

অন্যদিকে চকরিয়া উপজেলার সার্বিক পরিস্থিতির প্রস্তুতির বিষয়টি গতকাল সন্ধার দিকে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক স্যারকে অবহিত করা হয়েছে। প্রেক্ষাপট পরবর্তী চাহিদামতে
দুর্গত এলাকার মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় শুকনো খাবার ও পর্যাপ্ত ওষুধপত্র সরবরাহ করবেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

পাঠকের মতামত: