নিজস্ব প্রতিনিধি, চকরিয়া : কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ঈদমনি এলাকা থেকে চোরাইকৃত ৩টি মহিষ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ ৫জুন/২১, ভোর রাতে চকরিয়া থানা পুলিশের সহযোগিতায় মহেষখালী পুলিশ এ অভিযানের নেতৃত্ব দেয়।
এসময় পুলিশ প্রায় আড়াই লাখ টাকা মূল্যের ৩টি গরু উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। মহিষের মালিক মহেষখালী উপজেলার কুতুবজোম তাজিয়াখাটা এলাকার মৃত দুদু মিয়ার পুত্র এনামুল হক।
বাদী জানায়, গতকাল ৪ জুন রাতে তার খামার এলাকা থেকে চোরের দল ৪টি মহিষ চুরি করে নিয়ে যায়। পরেদিন সকালে ওই মহিষ গুলোর মধ্যে ৩টি মহিষ সাহারবিল ইউনিয়নের কোরালখালীর বিভিন্ন লোকদের তথ্য ভিত্তিতে সনাক্ত করে চকরিয়া থানা পুলিশের সহযোগিতায় ওই এলাকার নবী হোসেনের বাড়িতে তল্লাসী চালায়। তবে ওই অভিযানে ব্যর্থ হয়ে পুনরায় মহেষখালী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে মহিষের মালিক নিজে ।
এসময় মহেশখালী থানা পুলিশ জেলার উর্ধতন কতৃপক্ষের সহয়োগিতায় চকরিয়া থানাকে সাথে নিয়ে রাতে পুনরায় অভিযান পরিচালনা করে।
পুলিশ ওই সময় নবী হোসের বাড়ির একটু দূরে এক বাড়ির আঙ্গিনায় গাছে সাথে বেঁধে রাখা অবস্থায় ৩টি মহিষ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এসময় পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
এর আগেও স্থানীয় লোকজন সাহারবিল এলাকার সাবেক মেম্বার রহিম ও ঘের মালিক ভূট্টোর ১২টি মহিষ উদ্ধার করে চোরের দলের কাছ থেকে।
স্থানীয় লোকজন জানায়, দীর্ঘদিন ধরে একটি সিন্ডিকেট জেলা ও জেলার বাহির থেকে সাধারণ মানুষের গরু-মহিষ ও ছাগল চুরি করে আসছে। এ ধরণের চুরি অব্যাহত থাকার কারণে এলাকার অপরাধ কর্মকান্ড বেড়ে চলেছে।
স্থানীয়রা আরো জানায়, চোরের দল এ চুরি কাজে ছোট ছোট কিশোরকেও অর্থের লোভ দেখিয়ে ব্যবহার করছে। এতে করে আইন শৃংখলার মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
এলাকার লোকজন এ ব্যাপারে চোরের মূল হুতাকে খোজে বের করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
পাঠকের মতামত: