নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: কক্সবাজারের চকরিয়ায় ফের কল্যাণ পার্টির নির্বাচনী ক্যাম্প পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় পাহারাদার আবু সালেককে (৫০) রশি দিয়ে বেঁধে পিটিয়ে জখম ও আসবাবপত্র ভাংচুরও করা হয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এটি নির্বাচনী ক্যাম্প পুড়ানোর দ্বিতীয় ঘটনা। কক্সবাজার ১ আসনে নির্বাচনী সহিংসতা বাড়তে থাকায় হচ্ছে মামলা, বাড়ছে উদ্বেগ উৎকন্ঠা।
সর্বশেষ আজ মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) ভোরে চকরিয়ার বিএমচর ইউনিয়নের পুচ্ছালিয়াপাড়ায় হাতঘড়ি প্রতীকের নির্বাচনী এসব ঘটনা ঘটে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কল্যাণ পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক আল আমিন ভুঁইয়া রিপন।
তিনি বলেন, সোমবার ভোরে কৈয়ারবিল ইউনিয়নে নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বিএমচরে মঙ্গলবার ভোরে আরও একটি নির্বাচনী ক্যাম্প পুড়িয়ে দিয়েছে। ওই সময় দুর্বৃত্তরা ক্যাম্পের পাহারাদার আবু সালেককে পিটিয়ে আহত ও রশি দিয়ে বেঁধে পাশেই ফেলে রাখে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, সকালে মাতামুহুরী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আইসি ঘটনাটি জানালে আমি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাহাত উজ জামানসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।
লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কৈয়ারবিল ইউনিয়নে নির্বাচনী ক্যাম্প পোড়ানোর ঘটনায় মঙ্গলবার একটি মামলা দায়ের হয়েছে। বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির দপ্তর সম্পাদক আল আমিন ভূঁইয়া রিপন বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখপূর্বক ১৮-২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি দেখিয়ে এজাহার দিলে সেটি মামলা হিসেবে এন্ট্রি করা হয়। এই মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে কৈয়ারবিল ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন ওরফে মক্কী ইকবালকে।
তিনি আরও বলেন, ৩১ ডিসেম্বর র্যাবের উপর হামলার ঘটনায় ওয়ারেন্ট অফিসার আজমত আলী বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় ৩৩ জনের নাম উল্লেখ ছাড়াও ৫০০-৬০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি দেখানো হয়েছে। এজাহার নামীয় নাসির উদ্দিন ছুট্টু, ও হিরোকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুটি মামলাসহ সর্বশেষ বিএমচরে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার অভিযান চালাচ্ছে পুলিশের কয়েকটি দল।
পাঠকের মতামত: