এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :: মহামারি করোনা সংক্রমণের লাগামহীন উর্ধ্বগতিতে জনগনের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে গতকাল শনিবার (৭ আগস্ট) থেকে চকরিয়া উপজেলার ইউনিয়নপর্যায়ে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। উদ্বোধনী দিনে উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নের ১৮টি কেন্দ্রে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত নিবন্ধনভুক্ত সর্বসাধারণের মাঝে করোনা টিকা দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ৬০০জন করে ১৮টি কেন্দ্রে সর্বমোট ১০হাজার ৮০০জনকে টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলার প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা: মোহাম্মদুল হক।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মোহাম্মদুল হক বলেন, টিকা গ্রহণের ক্ষেত্রে সবাইকে আগে রেজিষ্ট্রেশনের আওতায় আসতে হবে। তবে বয়স্কভাতা ভোগী যারা রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবেন না তাদেরকে জাতীয় পরিচয়পত্র ও মোবাইল ফোন সহকারে কেন্দ্রে আসতে হবে। এছাড়া রেজিষ্ট্রেশনকৃত অন্যদের টিকা আগামী ১৪ আগষ্ট থেকে পর্যায়ক্রমে প্রদান করা হবে।
শনিবার সকাল ৯টায় লক্ষ্যারচর ইউনিয়নে নিবন্ধনভুক্ত জনগনের মাঝে করোনা টিকা প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুল হক ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা কাইছার।
স্বাস্থ্য পরিদর্শক মোমেনুল আলম, স্বাস্থ্য সহকারী মুজিবুল হক, স্বাস্থকর্মী আনজুমন নাহার, ছালেহা বেগম, সেলিনা আকতার, রেবেকা খানম, ইউপি সচিব জান্নাতুল ফেরদৌস কুমকুমসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
শনিবার উদ্বোধনী দিনে লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের আওতাধীন চকরিয়া সরকারী কলেজ মিলনায়তনে টিকা প্রদান কার্যক্রমের পাশাপাশি উপজেলার বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদ, পশ্চিম বড ভেওলা ইউনিয়ন পরিষদ, ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদ, খুটাখালী ইউনিয়ন পরিষদ, কোনাখালী ইউনিয়ন পরিষদ, বিএমচর ইউনিয়ন পরিষদ, পূর্ব বড ভেওলা ইউনিয়নের বড় ভেওলা সিকদার পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাকারা ইউনিয়ন পরিষদ, সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদ,বমুবিলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ, বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদ, কৈয়াবিল ইউনিয়ন পরিষদ, হারবাং ইউনিয়ন পরিষদ, চিরিঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ, সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদ ও ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের আশরাফুল উলুম মাদ্রাসা কেন্দ্রসহ মোট ১৮টি কেন্দ্রে একযোগে জনগনের মাঝে টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। #
চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মোহাম্মদুল হক বলেন, সরকার ২৫ বছরের উর্ধে সকল নাগরিকদের কোভিড ১৯ ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। এরইঅংশ হিসেবে শনিবার (৭ আগস্ট) থেকে উপজেলার ১৮ ইউনিয়নে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ৬০০জন করে ১৮টি ইউনিয়নের ১৮টি কেন্দ্রে সর্বমোট ১০হাজার ৮০০জন নারী-পুরুষকে টিকা প্রদান করা হবে। ইউনিয়নপর্যায়ে শুরু হওয়া প্রথমধাপের টিকাদান কার্যক্রমে বয়স্কভাতা কার্ডধারীরা অগ্রাধিকার পবেন। এছাড়া রেজিষ্ট্রেশনকৃত অন্যান্যদের টিকা আগামী ১৪ আগষ্ট থেকে পর্যায়ক্রমে দেওয়া হবে।
পাঠকের মতামত: