ঢাকা,সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ার স্বাধীনতাকামী গণমানুষের প্রিয়ভাজন বীরমুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন বাঙ্গালী

ah bangaliএম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :::

স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ, মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার গৌরব, বীরত্ব লাভ সবার ভাগ্যে জুটে না। এই অনন্য সুযোগ জীবনে একবারই এসে ছিল। সারা বাংলার প্রায় ৭কোটি মানুষের একমাত্র আকাঙ্খা ছিল বাংলাদেশকে স্বাধীন করা। আর মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ কারীর সংখ্যাও গুটি কয়েক। তাদের আত্মত্যাগ ও কষ্টের ফসলে আজকের এই বাংলাদেশ। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের রূপকার, তারা বাঙ্গালী জাতির অহংকার। তারা স্বাধীন বাংলার সূর্য সন্তান, তাদের অ¯ি’ত্বে মিশে থাকবে দেশের প্রতিটি ইঞ্চি মাটি। তারই মত কক্সবাজারের ইতিহাসে যে কয়জন মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে তাদের একজন চকরিয়া উপজেলার মাতমুহুরী নদীর পাশ ঘেষে গড়ে উঠা একটি ডিমের মত ছোট লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন বাঙ্গালী। ছোটকাল মেধাবী শিক্ষার্থী মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন ছিলেন অন্যায়ের প্রতিবাদকারী। মৃত্যুর পরও মানুষের অন্তরে তাঁর জায়গা অটুট রয়েছে। তিনি মারা যাওয়ার পর তার নামে গঠন করা হয়েছে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন বাঙ্গালী কল্যাণ ট্রাষ্ট’।

এই ট্রাষ্টের মাধ্যমে অনেক গরীবদের বিয়েতে সহযোগিতা, প্রতিবছর ঈদের সময় কাপড় বিতরণ, বন্যার সময় ত্রাণ বিতরণসহ নানা কল্যাণ মুলক কাজ করে যা”েছ তার পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন বাঙ্গালী কল্যাণ ট্রাষ্টের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম সেলিম। তিনি মারা যাওয়ার পর তাঁর নামে দুইটি সড়কের নামকরণ করেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল করিম। তিনি মারা যাওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজারের তিনবার সমাবেশে আসে। কক্সবাজার, রামু ও উখিয়ায় ওই সমাবেশে তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে তথ্য বহুল বৃক্ততা রাখেন। কিছুদিন আগে চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ জাফর আলম তাঁর নিজ বাড়ির সামনে একটি মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন বাঙ্গালী তোরণ নিমার্ণ করার ঘোষণা দেন। এখন তাঁর পরিবারের দাবি, ‘মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন বাঙ্গালী’ নামে চকরিয়া কলেজে একটি আবাসিক ছাত্রাবাস তা নামে নামকরণ করার। তাঁর হাত ধরেই চকরিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কার্যালয় ¯’াপন করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন বাঙ্গালী হাত ধরে চকরিয়া উপজলায় প্রথম মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা অনুষ্ঠিত হয়। তিনি ওই মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ছিলেন। সারা জীবন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে ঘাদক দালাল নিমূল করে। তিনি মুক্তিযুদ্ধের পরে চকরিয়ার আলোচিত মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদের লাশ সনাক্ত করে কাকারা¯’ শাহ ওমরাবাদ মাজারের রাষ্ট্রীয় মর্যদায় দাফন করা হয়।

কক্সবাজারের চকরিয়ার উপজেলার লক্ষ্যারচর ইউনিয়নে এক সম্ভান্ত মুসলিম পরিবারে মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন বাঙ্গালীর ১ফের্রুয়ারি ১৯৫৪সালে জম্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মরহুম মনিরুজ্জামান এবং মাতার নাম মরহুমা জীবন খাতুন। জম্মেপর থেকে মাতামুহুরীর পাড়ে বেড়ে উঠে মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন বাঙ্গালী শৈশব জীবন। শৈশবকালে তিনি প্রতিদিন স্কুল থেকে ফিরে মাতামুহুরী নদীতে গোছল করতে ভালবাসতেন। তাঁর সারাটা জীবন কেটেছে সাধারণ মানুষে পক্ষে প্রতিবাদ করার মাধ্যমে।

তিনি ¯’ানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা শুরু করেন। ১৯৬৩সালে তিনি টেলেন্টপুলে প্রাথমিক বৃত্তি লাভ করেন। কৃতিত্বের সাথে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গন্ডি পেরিয়ে শাহ ওমরাবাদ উ”চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ট শ্রেণীকে ভর্তি হন। ওই বিদ্যালয় থেকে অষ্টম শ্রেণীতেও ১৯৬৭ সালে তিনি টেলেন্টপুলে বৃত্তি লাভ করেন। একই স্কুল থেকে ১৯৭২সালে প্রবেশিকা পরীক্ষায় ১ম বিভাগে কৃতিত্বের সাথে পাশ করে। তিনি স্কুল জীবন থাকা অব¯’ায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জাবিত হয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন। তিনি শাহ ওমরাবাদ উ”চ বিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। এরপর তিনি বৃহত্তর চকরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৭০ সালে জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর প্রার্থীকে বিজয়ী করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭০ সালের শেষের দিকে স্বাধীনতা আন্দোলন তীব্রতর হলে চকরিয়া সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। তিনি উক্ত ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেন। ছাত্র সমাজকে স্বাধীনতা স্বপক্ষে সংগঠিত করেন এবং নিজে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণের প্র¯‘তি গ্রহণ কনে। তিনি ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ ঢাকার ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে আওয়ামীলীগ নেতাদের সাথে স্বশরীরে উপ¯ি’ত ছিলেন। ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা যুদ্ধের ডাক দিলে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলেতিনি যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। ১১নং সেক্টরের মেজর জেনারেল রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের অধীনে প্রথমে বাংলাদেশে প্রশিক্ষণ নেন। পরে ভারত থেকে আরো উন্নত প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে আসে সরাসরি গেরিলা যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে তিনি শারীরিকভাবে মারাতœক ভাবে আহত হয়। পরে চিকিৎসা নিয়ে যুদ্ধে আবারোও ঝাঁপিয়ে পড়েন। যুদ্ধকালিন সময় সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্ণেল অলি আহমদকে যুদ্ধাহত অব¯’ায় চট্টগ্রামের কালুরঘাট ব্রিজ এলাকা থেকে উদ্ধার করে কক্সবাজারের টেকনাফে নিরাপদে সুরক্ষিত রাখে। এছাড়াও সাবেক মন্ত্রী এমআর সিদ্দিককে যুদ্ধাহত অব¯’ায় নিজের শরীর থেকে রক্ত দিয়ে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করে। যুদ্ধকালিন সময় তিনি এফএফ গ্রুপ নং-২ এর কমান্ডার হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। যুদ্ধ শেষে ১৯৭৩ সালে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তারই পরের বছর ১৯৭৪ সালে চকরিয়া থানা আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে কাজ শুরু করে। তিনি ওই কমিটির দপ্তর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সহপরিবারকে নিমর্মভাবে হত্যাকান্ডের পর তৎকালিন স্বৈরশাসকের রোষানলে পড়ে র্দীঘদিন তিনি কারাভোগ করে। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সহপরিবারকে নিমর্মভাবে হত্যাকান্ডের পর ১৭ই আগষ্ট তাকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই সময় তিনি দীর্ঘদিন কারাভোগ করেন। পরে জিয়াউর রহমানকে মারা যাওয়ার পর তিনি মুক্তি লাভ করে। এরপর ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ প্রতিষ্ঠিত হলে তিনি চকরিয়া উপজেলা শাখার কমান্ডারের দায়িত্ব পান। ১৯৮০-৮২ সালে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভমিকার কারণে অসংখ্য মিথ্যা মামলার আসামী হয়ে দীর্ঘ ৫ বছর ফেরারী জীবনযাপন করে। ১৯৮৭ সালে ৫ই ডিসেম্বর স্বৈরাচার পতন আন্দোলনে শহীদ দৌলতখানের মিছিলে নেতৃত্ব দেন। তিনি নিজ উদ্যোগে ১৯৮৮ সালে বার আউলিয়া নগর বাস্তহারা ভূমিহীন সমবায় সমিতির লিঃ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এক হাজারের বেশী বাস্তহারা মানুষকে সরকারী জমি পূর্ণবাসন করেন। ১৯৯১ সালে শহীদ জননী জাহানারা ঈমামের নেতৃত্বে ৭১ এর ঘাতক দালাল নিমূর্ল কমিটি গঠিত হলে বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন বাঙ্গালী কক্সবাজার জেলায় স্বপক্ষে জনমত গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। কৃর্তিমান মুত্কিযোদ্ধা শিক্ষা প্রসারে ভূমিকা রাখায় চকরিয়া উপজেলার শাহ ওমরাবাদ উ”চ বিধ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটি গঠিত হলে তিনি সহ-সভাপতি দায়িত্ব পালন করে। এরই পরের বছর ১৯৯৯৭ সালে কক্সবাজার জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার (তথ্য ও প্রচারের) দায়িত্ব পালন করে। ১৯৯৮ সালে তিনি লক্ষ্যারচরের আমজাদিয়া রফিকুল উলুম মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচিত হন। ১৯৯৮সালে কক্সবাজার জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার (সাংগঠনিক) পদে নির্বাচিত এবং মৃত্যুর আগ মুহুর্ত পর্যন্তএই দায়িত্ব পালন করেন।

২০১০ সালে কক্সবাজার জেলায় সর্ব প্রথম মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রথম মামলা করেন তিনি। যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার বাদী ছিলেনও তিনি। বর্তমানে মামলাটি ট্রাইবুনাল বিচারাধীন। ২০১১ সালে নিজ এলাকায় চকরিয়া আউডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন।

২০১৪ সালে ১১ মার্চ এক বিকেলে ৬০বছর বয়সে চকরিয়া তথা পুরো কক্সবাজারবাসী কাঁদিয়ে সুন্দর পৃথিবীর মায়া ত্যাগ মৃত্যুবরণ করেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন বাঙ্গালী মৃত্যুতে পুরো কক্সবাজারবাসীর মাঝে সুখের ছায়া নেমে আসে।

মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, পাঁচ ছেলে ও তিন মেয়েসহ অসংখ্য গুনাগ্রাহী রেখে গেছেন। পরে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ¯’ানীয় কবর¯’ানে সমাহিত করা হয়। তার জানাযায় চকরিয়া কলেজে মাঠে লক্ষ্যাচরের সর্ব বৃহৎ জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।

এদিকে তার স্ত্রী নাম আলহাজ¦ নেচারা বেগম। তিনি একজন সমাজ সেবিকা। তিনি জনপ্রতিনিধি হিসেবে দীর্ঘদিন চকরিয়া উপজেলার লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের ৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডে মহিলা ইউপি সদস্য ও ওই ওয়ার্ডে টানা তিনবার প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে। দায়িত্বকালে তিনি সুনামের সাথে কাজ করে যা”েছন। এছাড়াও তিনি আওয়ামী মহিলা আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে সরাসরি জড়িত রয়েছে। তিনি চকরিয়া উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সহ-সভানেত্রী ও লক্ষ্যারচরের মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী। তার পরিবারে মধ্যে পাঁচ ছেলে ও তিন মেয়ের মধ্যে রেজিয়া সুলতানা বকুল সবার বড়। তিনি কক্সবাজার কমার্স কলেজের শিক্ষক। ছেলেদের মধ্যে সবার বড় রেজাউল করিম সেলিম। তিনি লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বর্তমান সভাপতি। এছাড়াও রেজাউল করিম সেলিম চকরিয়া কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। দ্বিতীয় পুত্র জিয়াউল করিম তারেক সরকারী চাকুরীজীবি। তিনি খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পদে কর্মরত রয়েছে। তৃতীয় ছেলে মিরাজুল ইসলাম মিরাজ প্রবাসী এবং মুরাদুল করিম সিফাত বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট (সুইডিশ) ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছে। তাদের পুরো পরিবার সারা জীবন বঙ্গবন্ধুর আদর্শে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে রয়েছে। তার পুত্র রেজাউল করিম সেলিম পিতার আদর্শকে ধারণ করে স্মৃতি ধরে রাখতে চকরিয়ার একমাত্র লক্ষ্যারচরের শিকলঘাট বাজারের বঙ্গবন্ধু ইতিহাস গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন। ওই জায়গা লীজ নেওয়া হয় কক্সবাজার জেলা পরিষদ থেকে। তার ধারাবাহিতকায় লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয় ¯’াপন করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন বাঙ্গালীর নিজস্ব ডায়েরি পাতা ষেটে তার বড় পুত্র রেজাউল করিম সেলিম বলেন, আমরা সারা জীবন বাবার কাছ থেকে মুক্তিযুদ্ধে ইতিহাস শুনেছি। বাবার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে তার নামে প্রতিষ্ঠা করেছি বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন বাঙ্গালী কল্যাণ ট্রাষ্ট। এই ট্রাষ্টে মাধ্যমে গরীব ও অসহায় মানুষের পাশে রয়েছে আমাদের পরিবার। প্রতিবছরের মত গত রমজানের ঈদেও প্রায় আট লক্ষ টাকার কাপড় ও সেমাই-চিনি বিতরণ করেছি। মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন বাঙ্গালীর বড় ছেলে রেজাউল করিম সেলিম সরকারীভাবে অনুমোদনপ্রাপ্ত ‘আদর মাদকাসক্ত চিকিৎসা ও পূর্ণবাসন কেন্দ্রের চেয়ারম্যান। তিনিই কুমিল্লায় মাদকাক্তদের চিকিৎসা ও পূর্ণবাসন কেন্দ্র ¯’াপন করে। প্রতিবছর ওই চিকিৎসাকেন্দ্র থেকে ২ থেকে ৩ হাজার মাদকাসেবী স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে। কক্সবাজার জেলার যারা ওই চিকিৎসা কেন্দ্রে সেবা নিতে যায় তাদের উন্নতভাবে সেবা প্রদান করা হয়। রেজাউল করিম সেলিম বাংলাদেশ মাদকাসক্ত পূর্ণবাসন কেন্দ্র কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও স্বদেশ স্বাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতির দায়িত্বে রয়েছে।##

পাঠকের মতামত: