নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: চকরিয়ায় সাত ইউনিয়নে এখনো বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। ফলে ইউনিয়নগুলোর নিম্নাঞ্চলের মানুষ এখনো পানিবন্দি। বাড়িঘরে ঢুকে পড়া বন্যার পানি ভাটির দিকে দ্রুত নেমে যেতে না পারায় এই অবস্থা দেখা দিয়েছে। গত চারদিন ধরে ওই এলাকায় খাবার ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এছাড়া ইউনিয়নগুলোর অভ্যন্তরীণ সড়ক এখনো পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা অচলই রয়েছে।
এদিকে যেসব ইউনিয়ন থেকে বানের পানি নেমে গেছে, সেসব ইউনিয়নের পরিবারগুলোর মাঝে দুর্ভোগ বেড়েছে। বিশেষ করে যেসব ঘরবাড়ি কাঁচা রয়েছে তাদের দুর্ভোগ চরমে।
সরজমিন দেখা যায়, চকরিয়ার বরইতলী, কাকারা, কৈয়ারবিল, বিএমচর, কোনখালী, পূর্ব বড় ভেওলা, চিরিঙ্গা ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের অন্তত হাজারো পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় গত চারদিন ধরে দিনাতিপাত করছেন। বিভিন্ন ইউনিয়নে সড়ক, বেড়িবাঁধ, প্রতিরক্ষা দেওয়াল ভেঙে মাতামুহুরী নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে।
বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জালাল আহমদ সিকদার বলেন, এখনো আমার ইউনিয়নের রসুলাবাদ হিন্দুপাড়া, ডেইঙ্গাকাটাসহ কয়েকটি গ্রাম থেকে বানের পানি নামেনি। অসংখ্য পরিবার এখনো পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। সচল হয়নি সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থাও।
সরকারিভাবে প্রাপ্ত ত্রাণ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর কাছে পৌঁছে দিচ্ছি। ডুবে থাকা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান যথাক্রমে কাকারার শওকত ওসমান, চিরিঙ্গার জসীম উদ্দিন, বিএমচরের জাহাঙ্গীর আলম, পূর্ব বড় ভেওলার আনোয়ারুল আরিফ দুলাল একই পরিস্থিতির কথা বলেন।
এ ব্যাপারে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ শামসুল তাবরীজ বলেন, চকরিয়ার ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ৮০ শতাংশ এলাকা বানের পানিতে ভেসেছে দুইদিন ধরে। তবে এখনো কয়েকটি ইউনিয়নের নিন্মাঞ্চল থেকে পানি নেমে যেতে পারেনি। এখনো যারা বন্যাকবলিত রয়েছেন তাদের ঘরে ঘরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাদ্য সরবরাহ করা হচ্ছে।
ইউএনও আরও জানান, যেসব ইউনিয়ন থেকে পানি নেমে গেছে সেখানে বন্যায় সার্বিক ক্ষয়ক্ষতির চিত্র নিরূপন করা হচ্ছে। আগামী দু-একদিনের মধ্যেই চূড়ান্তভাবে জানা যাবে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা।
জাফর আলম এমপি বলেন, বন্যাকবলিত এলাকার কোন মানুষকে অভুক্ত থাকতে দেওয়া হচ্ছে না। দুই উপজেলা থেকে বানের পানি পুরোপুরি নেমে গেলে সবকিছু যাতে স্বাভাবিক করা যায় সেজন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।
পাঠকের মতামত: