নিজস্ব প্রতিবেদক ::
কক্সবাজার বনবিভাগের চকরিয়ায় ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মেহরাজের বিরুদ্ধে চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ডুলাহাজারা ইউনিয়নের রিংভং ছগিরশাহকাটা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম আমিন উল্লাহ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। আদালতের বিচারক অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন চকরিয়া থানার ওসিকে।
বুধবারে দায়ের করা মামলার নথি আজ বৃহস্পতিবার থানায় এসে পৌঁছেছে। মামলার এজাহারে বাদী দাবি করেছেন- ডুলাহাজারা ইউনিয়নের রিংভং ছগিরশাহকাটা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয় বিগত ৫০ বছর পূর্বে। এর আগে থেকেই সেখানে জনবসতি গড়ে উঠে। স্থাপিত মসজিদটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পুরোনো মসজিদটি ভেঙে নতুন করে নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়। এজন্য নির্মাণসামগ্রীও সেখানে নেওয়া হয়।
গত ১২ মার্চ দুপুরে বালুভর্তি একটি ট্রাক এসে মসজিদের পাশে বালু ফেলে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তার নেতৃত্বে একদল লোক এসে বালু ফেলে যাওয়া গাড়িটির সন্ধান চান ইমামের কাছে। এ সময় ইমাম গাড়িটি কোথায় গেছে জানেন না বলতেই তাঁকে দিগম্বর করে টেনে-হিঁচড়ে কিছুদূর নিয়ে যায় রেঞ্জ কর্মকর্তা ও সঙ্গীয় লোকজন। এ সময় তাঁকে শারিরিকভাবে মারধরও করা হয়। এই অবস্থায় লোকজন এগিয়ে আসলে ছেড়ে দেওয়া হয় ইমামকে।
এজাহারে ইমাম আরো দাবি করেছেন- বনবিভাগের জায়গায় মসজিদ নির্মাণ করতে হলে অনুমতি নিতে হবে, বনবিভাগকে টাকা দিতে হবে তা না হলে এখানে মসজিদ নির্মাণ করা যাবে না, না হলে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হবে মর্মে হাকাবকা করে রেঞ্জ কর্মকর্তা চলে যান। এমনকি রেঞ্জ কর্মকর্তা ধর্মবিদ্বেষী নানা ধরণের কটূক্তিও করেন প্রকাশ্যে।
তবে অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মেহরাজ। তিনি দাবি করেন, মামলার বাদী যিনি হয়েছেন তার সাথে কোনসময় আমার দেখাও হয়নি। তাকে ব্যক্তিগতভাবে আমি চিনিও না। শুধুমাত্র বনভূমি, বনজসম্পদ রক্ষা করতে গিয়েই আমার বিরুদ্ধে নানা অপবাদ ছড়াচ্ছেন একটি চক্র। বিষয়টি আমার ঊর্ধতন কর্মকর্তারা জানেন। তাই মামলা হলেও আমার কোন ধরণের দুশ্চিন্তা নেই।
চকরিয়া থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘মসজিদের ইমাম কর্তৃক আদালতে দায়েরকৃত নালিশী মামলাটি তদন্তের জন্য একজন অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্তপূর্বক পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।’
পাঠকের মতামত: