এম জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী থানা পুলিশের অভিযানে ২০২০ সালের ২৬ আগস্ট গ্রেফতার হন স্থানীয় বাসিন্দা মিজানুর রহমান ও তরিকুল ইসলাম নামের দুই ব্যক্তি। পরে তাদের পায়ুপথ থেকে উদ্ধার করে ৩২৮০ পিস্ ইয়াবা। এ ঘটনায় এসআই মোঃ খাদেমুল করিম বাদি হয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানায় মাদক আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় একটি মামলা রুজু করেন। মামলার এজাহারে উদ্ধারকৃত এসব ইয়াবা চট্টগ্রামের বাবুল নামের একজনের কাছ থেকে নিয়ে বালিয়াডাঙ্গীর মাদক কারবারি চক্রের কাছে আনা হচ্ছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তার যোগসাজশে মামলায় ওমান প্রবাসী নিরীহ বাবুল রুদ্রকে (পিতা মৃত নেপাল রুদ্র) আসামি করাহয়েছে দাবি করে, মামলা থেকে নিস্তার পাওয়ার দাবিতে সোমবার (৪এপ্রিল) দুপুরে চকরিয়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী বাবুল রুদ্রের পরিবার।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, মামলাটি রুজু হবার পর ইয়াবার চালান পাঠানো বাবুলকে সনাক্ত করতে বালিয়াডাঙ্গী থানা পুলিশ দ্বারস্থ হন কক্সবাজারের চকরিয়া থানা পুলিশের কাছে। থানার তৎকালীন ওসি বিষয় টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার দায়িত্ব দেন থানার এএসআই মোহাম্মদ আমির হোসেনকে ( বিপি নং- ৮৬০৫১০২১১০)।
সংবাদ সম্মেলনে ওমান প্রবাসী চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বাসিন্দা বাবুল রুদ্রের স্ত্রী দেবী রুদ্র বলেন, আমার স্বামী বাবুল রুদ্র ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী থানায় ২০২০ সালের ২৬ আগস্ট মাদক মামলাটি রুজু হবার একবছর পূর্বে অর্থাৎ ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর থেকে ওমানে প্রবাস জীবনে রয়েছেন।
অথচ চকরিয়া থানার এএসআই আমির হোসেন কোনধরনের তদন্ত ছাড়াই প্রকৃত ইয়াবা ব্যবসায়ী বাবুলকে সনাক্ত না করে, আমার প্রবাসী স্বামীর বিরুদ্ধে মনগড়া মিথ্যা প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন বালিয়াডাঙ্গী থানায়। এমনকি ওইসময় তদন্তের জন্য পুলিশের ওই দারোগা আমার বাড়িতেও আসেননি এবং এব্যাপারে জানতে আমাদের পরিবারের কারো সঙ্গে কথাও বলেনি।
দেবী রুদ্র আরও বলেন, আমার ধারণা ওইসময় তদন্ত করতে গিয়ে চকরিয়া থানার তৎকালীন এএসআই আমির হোসেন প্রকৃত ইয়াবা ব্যবসায়ী বাবুলের সাথে হাত মিলিয়ে তার কাছ থেকে অবৈধসুবিধা নিয়ে এই জগণ্য কাজটি তিনি করেছেন। আমি এইধরনের বানোয়াট মিথ্যা প্রতিবেদনে হয়রানি মূলক মামলা থেকে আমার স্বামীকে নিস্তার দিতে বিজ্ঞ আদালতের কাছে সুবিচার প্রার্থনা করছি। পাশাপাশি ভিত্তিহীন ও মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিলকারী অভিযুক্ত এএসআই আমির হোসেন এর বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মহোদয় এর কাছে জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
বালিয়াডাঙ্গী থানায় মাদক মামলা রুজু হবার এক বছর আগে থেকেই দেবী রুদ্রের স্বামী বাবুল রুদ্র ওমানে শ্রমিক হিসেবে কর্মরত থাকার ওয়ার্ক পারমিট, ভিসা ও পাসপোর্টসহ যাবতীয় ডকুমেন্টস সাংবাদিকদের প্রদর্শন করেন এবং এ-সব ডকুমেন্টস তার স্বামী বাবুল রুদ্রকে নির্দোষ হিসেবে প্রমাণ দেবে বলে জানান। সংবাদ সম্মেলনে বাবুল রুদ্রের ৯ বছরের পুত্র দূর্জয় রুদ্র, সাড়ে ৪ বছরের কন্যা হিমাদ্রি রুদ্র ও মা চিনু রুদ্র উপস্থিত ছিলেন।
পাঠকের মতামত: