গত ২০ মার্চ কক্সবাজারের চকরিয়া পৌর সভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো। এ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ের মালা পড়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আলমগীর চৌধুরী।
গত ১৯৯৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার পৌরসভাটি গঠন করেন। ১৫.৪২ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। ২০১১ সালের আদমসুমারী অনুযায়ী পৌরসভার লোক সংখ্যা ছিল ১১৮৫৩০ জন। বর্তমানে পৌরসভা এলাকা বর্ধিত করায় এর জনসংখ্যা প্রায় পৌণে ২ লক্ষ হবে।
এ পৌরসভায় এটাই ৩য় বারের মতো নির্বাচন। আলমগীর চৌধুরী হচ্ছেন ৪র্থ পৌর পিতা। এর আগে ছিলেন বিএনপি মনোনীত মেয়র ছিলেন জাতীয় পার্টি মনোনীত আনোয়ারুল হাকিম দুলাল। এর পরের নির্বাচনে আওয়ামীলীগ নেতা জাফর আলম বিএঅনার্স এমএ এক মেয়াদে বিপুল ভোটে মেয়র নির্বাচিত হন। তিনি এ পৌরসভার ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। নগরীরর অধিবাসিরা পেয়েছিল কাঙ্খিত সুযোগ সুবিধা। তিনি বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির পাশাপাশি সফল একজন উপজেলা চেয়ারম্যানও।
তয় বারের মতো পৌর নির্বাচনে জযী হন বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম হয়দার। বিএনপি-জামায়াতের দুর্গ হিসেবে খ্যাত এ পৌর সভায় গত বারে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে পরাজিত করলেও তিনি সেই পরিমাণ এলাকার উন্নয়ন করতে পারেননি। রাজনীতি আর মামলার হুলিয়া মাথায় নিয়ে তিনি পলাতক ছিলেন। সেই কারণে জনগণ নাগরিক সুবিধা হতে বঞ্চিত হয়েছে বহু বছর। এবারের নির্বাচনে সেই মাশুল কড়ায়গন্ডায় দিতে হয়েছে বলে মনে করেন স্থানীয় অধিবাসিরা। চকরিয়া পৌরসভা গত১৯৯৪ সালে প্রথম গঠন করা হয়। রাজনৈতিক নিয়োগে এখানে প্রথম পৌর প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করেন এড. আমজাদ হোসেন। তিনি এলাকার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে অনেক কাজ করে গেছেন। এর আগে আমলারা পৌর প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করেন।
সর্বশেষ ২০ মার্চ নির্বাচনে চতুর্থ পৌর পিতার খাতায় নাম লেখালেন আলমগীর চৌধুরী। তিনি আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী। নৌকা প্রতীক নিয়ে চকরিয়া পৌরসভা নির্বাচনে বিজয়ী হন আলমগীর চৌধুরী। তিনি ২৩৩৫২ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বিএনপি মনোনীত প্রার্থী বর্তমান মেয়র নুরুল ইসলাম হায়দার পেয়েছেন ৮৮৪৫ ভোট। এখানে ভোটার সংখ্যা ছিল ৪২৩০৬ জন। তবে জয়ি আলমগীর চৌধুরী ও নুরুল ইসলাম হায়দার সম্পর্কে শ্যালক-দুলা ভাই।
নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে এবারই জামায়াত বিএনপির দুর্গতে আঘাত হানা হয়েছে।
পৌরবাসি মনে করেন, তারা আশার প্রতিফলন ঘটেছে। বর্তমান সরকারের আমলে আওয়াী লীগ মনোনীত পৌর পিতা পাওয়ায় এবার পৌর এলাকার আমুল পরিবর্তণ আসবে। বাড়বে নাগরিক সুযোগ সুবিধা। এমটাই মনে করেন নগরবাসি।
পাঠকের মতামত: