ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

প্রতিবাদে এলাকায় বিক্ষোভ

চকরিয়ার ইউপি চেয়ারম্যান নবীকে চাঁদা না দেওয়ায় চিংড়িঘেরের মাছ লুট

স্টাফ রিপোর্টার, চকরিয়া :: সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নবী হোছাইন চৌধুরীকে চুক্তি মতো চাঁদা না দেওয়ায় রামপুর সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতির মালিকানাধীন চিংড়িঘেরে লুটপাট চালিয়েছে। এসময় প্রায় ২০ লাখ টাকার মাছ ও অন্যান্য মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

শনিবার (১৪ অক্টোবর) রাতে ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জন অস্ত্রধারী মাছ লুটে অংশ নেন বলে জানিয়েছে রামপুর সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতির সদস্যরা।

রোববার (১৫ অক্টোবর) বিকাল তিনটার দিকে চকরিয়া থানা সেন্টারস্থ রামপুর সমিতির কার্যালয় সাংবাদিক সম্মেলনে সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে চিংড়িঘের লুটপাটের কথা তুলে ধরেন রামপুর সমিতির সভাপতি আবু জাফর ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম লিটন।

এদিকে ইউপি চেয়ারম্যান নবী হোছাইন চৌধুরীর নানা অপকর্মের বিরুদ্ধে সমিতির সদস্যরা বিক্ষোভ করেন। তারা ইউপি চেয়ারম্যানকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবী জনান।

সাংবাদিক সম্মেলনে রামপুর সমবায় কৃষি সমিতির সম্পাদক শহিদুল ইসলাম লিটন বলেন, ১৫০০ সদস্য নিয়ে রামপুর সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতির পথচলা। সমিতির মালিকানাধীন বিপুল পরিমাণ চিংড়ি জমি থাকলেও বর্তমানে ভোগদখলে রয়েছে ৯০ একর আয়তনের চিংড়ি ঘের। সমিতির সদস্যরা ৯০ একর চিংড়িঘেরে মৎস্য চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। চিংড়িঘেরটি দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠে সাহারবিল ইউপি চেয়ারম্যান নবী হোছাইন চৌধুরী। চিংড়িঘেরের নিরাপত্তা দেওয়ার কথা বলে ইউপি চেয়ারম্যান সমিতির সদস্যদের কাছ থেকে চাঁদা দাবী করেন। চাদা না দিলে চিংড়িঘেরটি দখল করার হুমকি দেন তিনি।

সম্প্রতি সময়ে চেয়ারম্যান নবীর নেতৃত্বে অস্ত্রের মহড়া দিচ্ছেন ঘেরের আশপাশে। এভাবে অব্যাহত হুমকিরমুখে সমিতির সদস্যরা ইউপি চেয়ারম্যানকে প্রতিবছর ১৬ লাখ টাকা দেওয়ার সম্মতি হন।

ইতোমধ্যে তাকে তিন দফায় ৬ লাখ টাকা দিয়েছি। এখন তিনি আরও ১০ লাখ টাকা দাবি করছেন। চাঁদার টাকা না দেয়ায় ১৪ অক্টোবর শনিবার রাতে ৩০-৩৫ জনের অস্ত্রধারী সমিতির চিংড়ি ঘেরে হামলা চালিয়ে প্রায় ২০ লাখ টাকার মাছ ও অন্যান্য মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

রামপুর সমিতির সভাপতি আবু জাফর ও সম্পাদক শহিদুল ইসলাম লিটন বলেন, শনিবার রাতে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা সমিতির ঘেরে হামলা চালালে তাৎক্ষণিক আমরা চকরিয়া থানা পুলিশ ও পুলিশের জরুরী সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে সহযোগিতা চাই। কিন্তু থানায় এসে অভিযোগ জমা দিতে বলে দায়িত্ব শেষ করেন পুলিশ। এই সুযোগে রাতের মধ্যে ঘেরের সমুদয় মাছ লুটে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন অস্ত্রধারীরা।

অভিযোগ অস্বীকার করে সাহারবিল ইউপি চেয়ারম্যান নবী হোছাইন চৌধুরী বলেন, আমার বিরুদ্ধে চাঁদা দাবীর অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমার কোন সন্ত্রাসী বাহিনী নেই। কোন ধরনের চাঁদা দাবী করি নাই।

পাঠকের মতামত: