ঢাকা,বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪

গোলাপগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন পদ-প্রার্থীদের ঘোষণাকৃতদের নাম আড়াল করে সংবাদ প্রকাশে তীব্র সমালোচনা

গোলাপগঞ্জ (সিলেট) প্রতিনিধি :::

সিলেটের গোলাপগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীরা তৎপড় হয়ে ওঠেছেন। কেউ কেউ দলীয় সমর্থন পেতে ধরনা দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় পর্যায়েও। স্থানীয়ভাবে পোষ্টার,ব্যাণার ও ফেষ্টুনও ঝুলিয়ে রেখেছেন রাস্তা ঘাটে। অনেকে আবার ফেষ্টুন ব্যাণার না ঝুলিয়েও বিভিন্ন স্থানীয়,জাতীয় দৈনিক পত্র-পত্রিকায় কৌশল অবলম্বন করে কতিপয় সংবাদকর্মীদের দিয়ে গণমাধ্যমে ঘোষণা ছাড়া সংবাদ প্রকাশিত করছেন। এমনটি অভিযোগ করেছেন স্থানীয় উপজেলার আ.লীগ সমতীর্থ একাধিক প্রার্থী। নিজেদের জনপ্রিয়তা জনসম্মুখে তুলে ধরতে এসকল প্রার্থীরা নির্বাচনী ঈশতেহারের নিয়মনীতির কোন তোয়েক্কা করছেন না। এ ঘটনার সত্যতা বেরিয়ে আসে ৩১ জানুয়ারী রবিবার একটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর। টনক নড়ে ঘোষণা দেয়া অন্যান্য প্রার্থীদের। সত্যতাকে আড়াল করে সংবাদটি প্রকাশ করা হয় ঐ জাতীয় দৈনিকে। এতে ঘোষণাকৃত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীরা সাংবাদিকদের জানান সংবাদটি পুরোপুরি হীণস্বার্থে প্রকাশ করা হয়েছে। সংবাদে আড়াল করা হয়েছে ঘোষণাকৃতদের নাম। ফলে এ সংবাদ নিয়ে স্থানীয়ভাবে সমালোচনার ঝড় বইছে।

জানা যায়,আ.লীগ সরকারের পক্ষে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে টিকেট চাইতে পারেন, বর্তমান চেয়ারম্যান কবির আহমদ,আর্জমন্দ আলী, স্যায়িদ আহমদ সুহেদ ও কামরান আহমদ ।

 অন্যদিকে বিএনপির পক্ষে মনোয়ন পেতে দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন, আব্দুল কাদির সেলিম, সালেহ আহমদ গেদা, আহাদুর রহমান কামরুল, রাহুল আহমদ সাহেল,সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকিত ও আবুল হাসনাত। স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে এমএকাইয়ুম পাখি ।

জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের নূরুল আমিন, সদর ইউনিয়নের আ.লীগের আব্দুল ওদুদ, আব্দুল সামাদ জিলু, নজরুল ইসলাম আশু,বিএনপির আব্দুল জলিল সেলিম, ইসলামি ঐক্যজোটের ইলিয়াসবিন রিয়াসদ ও আশফাক আহমদ চৌধুরী।

ফুলবাড়ি ইউনিয়নের বিএনপির বর্তমান চেয়ারম্যান মামূন আহমদ রিপন,বিএনপি নেতা মাহবুবুর রহমান ফয়সল,সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন আনা,আব্দুল আবুল হানিফ খান,আব্দুল মন্নান কয়েস,বিএনপি নেতা আবুল কালাম ও আ.লীগের রেদোয়ান আহমদ।

লক্ষীপাশা ইউনিয়নের আ,লীগের বর্তমান চেয়ারম্যান মাহমূদ আহমদ,আব্দুর রহিম, সাবেক চেয়ারম্যান কবির আহমদ মোশন,বিএনপির জিয়াউল ইসলাম জিতু,লায়েক আহমদ, আব্দুল মোমেন খান সাবুল ও আবুল কালাম আজাদ।

বুধবারি বাজার ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম আছকির,আ.লীগের রফিক উদ্দিন,মস্তাক উদ্দিন,এমজেড আলম,বিএনপির হেলার উদ্দিন,জমিয়তের মাওলানা আলী আহমদ ও নজরুল ইসলাম পংকি।

ঢাকা দক্ষিণ ইউনিয়নে জাতীয়পার্টির বর্তমান চেয়ারম্যান মজির উদ্দিন চাকলাদার,দেলোয়ার হুসাইন,বিএনপির মনিরুজ্জামান উজ্জল,আ.লীগের মোহাম্মদ শাহাবউদ্দিন, আব্দুল হান্নান,জামিল আহমদ,খায়রুল হক,জমিয়তের মাওলানা মারুফ আহমদ,নগরী ও বিএনপির জাকারিয়া হোসেন উজ্জল,আব্দুস সায়াদ।

লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নে বিএনপির বর্তমান চেয়ারম্যান নছিরুল হক শাহীন,নিজাম উদ্দিন,রেকল আহমদ,কয়েস আহমদ,খালেদুর রহমান ও জাপার খলকুর রহমান,বাদেশ^র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এমএসালিক,বিএনপির জিলাল আহমদ, আ.লীগের রুমেল সিরাজ,আব্দুররব ও জাপার আনিসুজ্জামান পাবলু।

পশ্চিম আমুরা ইউনিয়নের জাপার বর্তমান চেয়ারম্যান আচদ্দর আলী জালালী,আ.লীগের সাবেক চেয়ারম্যান মঈন উদ্দিন,আবু সুফিয়ান আজম, এম এ ওয়াদুদ এমরুল,বর্তমান মেম্বার তারেক আহমদ,রাসেল আহমদ ও কামাল উদ্দিন,বিএনপির রুহেল আহমদ,ফখর উদ্দিন সফাই,আব্দুল গাফফার কুঠি,জমিয়তের মাওলানা ছালিম আহমদ ওমাষ্টার হারুনুররশীদ।

উত্তর বাদেপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেহান উদ্দিন,আ.লীগের আব্দুল কাদির,ছমির উদ্দিন,আলীম উদ্দিন বাবলু,শরিফগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেহান উদ্দিন ও জমিয়তের হিফজুর রহমান।

পাঠকের মতামত: