সেলিম উদ্দীন, ঈদগাঁও, কক্সবাজার প্রতিনিধি: কক্সবাজার সদর উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নের গোমাতলী-রাজঘাট যাওয়ার একমাত্র গ্রামীণ রাস্তার খানা-খন্দকে ভরপুর। দেখে মনে হবে এ যেন রাস্তা নয় ছিঁড়া কাথা! এতে প্রতিনিয়তই যাত্রী সাধারণদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে আর ঘটেই চলেছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। বর্তমান সরকার যেখানে গ্রামে শহরের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করতে বদ্ধ পরিকর সেখানে গ্রামীন এই রাস্তার বেহাল দশার দীর্ঘ সময় পার হলেও তা সংস্কার করার কোন খবর নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। সদর উপজেলার শেষ সীমানার প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা বর্তমানে খানা-খন্দকে মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।
এই রাস্তা দিয়ে উত্তর গোমাতলী, রাজঘাট, চরপাড়া,আজিমপাড়াসহ বেশ ক’টি গ্রামের মানুষদের প্রতিনিয়তই চলাচল করতে হয়। চলাচলের জন্য এই রাস্তাটি একমাত্র পথ হওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। এইটুকু রাস্তার অধিকাংশ স্থানে মাটি সরে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। শুকনো মৌসুমে কোন মতে চলাচল করা গেলেও চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় বর্ষা মৌসুমে। বর্ষা মৌসুমে এই সব গর্তে হাটু পানি জমে থাকে। যার কারণে দিনে কিংবা রাতে চলাচলের সময় গর্তে পড়ে উল্টে পড়তে হয় মানুষদের। দীর্ঘদিন যাবত এই সব বড় বড় গর্তসহ রাস্তার কোন সংস্কারের কাজ না করায় চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
রাজঘাট গ্রামবাসিরা বলেন, আমরা চরম অবহেলিত এলাকায় বসবাস করি। যার কারণে দীর্ঘ সময় পার হলেও গ্রামীন এই অবহেলিত মরণ ফাঁদ রাস্তায় এখনও পর্যন্ত আধুনিকতার কোন ছোঁয়াই লাগেনি। স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি অনেকবার জানানোর পরও রাস্তাটি এখনও বেহাল দশায় পড়ে আছে।
স্থানীয় সিএনজি চালকরা অভিযোগ করে বলেন, আমরা খেটে খাওয়া মানুষ। তাই কারও নজর আমাদের উপর পড়ে না। এইটুক রাস্তার জন্য আমাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গাড়ী চালাতে হয়। অনেকবার সিএনজি উল্টে যাত্রীসহ অনেকেরই হাত-পা ভেঙ্গে গেছে। বিশেষ করে চরম বিপদে পড়তে হয় বর্ষা মৌসুমে। তাই আমরা চাই সরকার যেন আগামী বর্ষা মৌসুম আসার আগেই এই রাস্তাটি সংস্কার কিংবা পাকা করে দেন।
পোকখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রফিক আহমদ বলেন, এই রাস্তা সংস্কারের জন্য সকল কাগজপত্রাদি উপজেলা প্রকৌশলী অফিসে জমা দিয়েছি। আশা করছি অল্প কিছুদিনের মধ্যেই কাজ শুরু হবে।
কক্সবাজার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান বলেন, এই রাস্তার বেহাল দশা সংস্কারের জন্য উপরমহলে বরাবর প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। বরাদ্দ পেলেই সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে।
পাঠকের মতামত: