ডেস্ক রিপোর্ট ::
খ্রিষ্টানদের ধর্মীয় উৎসব ইস্টার সানডে উদযাপনকালে শ্রীলঙ্কায় ৬টি এলাকায় গির্জা ও হোটেলে বোমা বিস্ফোরণে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬০ জনে দাঁড়িয়েছে। আজ রোববার সকালে রাজধানীর কলোম্বসহ এর কাছাকাছি ছয়টি স্থানে এ হামলায় আহত হয়েছেন পাঁচ শতাধিক মানুষ। ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেনা মোতায়েন করেছে দেশটির সরকার।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, রোববার সকালে ইস্টার সানডের আয়োজনকে ঘিরে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে পৌনে ৯টার মধ্যে কোচচিকাদে এলাকার সেইন্ট অ্যান্থনি চার্চ, কাটুয়াপিতিয়ার সেইন্ট সেবাস্টিয়ানের চার্চ এবং বাত্তিকালোয়ার একটি গির্জায় বোমা হামলা চালানো হয়। এর কিছুক্ষণ পর রাজধানী কলম্বোর তিনটি হোটেল-সাংগ্রি লা, কিংসবারি ও সিনামন গ্র্যান্ড হোটেলেও বোমা বিস্ফোরণ হয়। এখন পর্যন্ত কেউ হামলার দায় স্বীকার করেনি।
ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলগুলো নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। বিমানবন্দরগুলোতে জোরদার করা হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। আগামী ২৩ তারিখ পর্যন্ত দেশটির সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে।
পুলিশের এক মুখপাত্র জানান, হামলার সময় গির্জায় পাঁচ শতাধিক মানুষ প্রার্থনারত অবস্থায় ছিলেন।
বিস্ফোরণে নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত দুজন বিদেশি আছেন। এ বিষয়ে শ্রীলঙ্কায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহ জানান, গির্জা ও হোটেলে সিরিজ বোমা হামলায় কোনো বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন কি না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
শ্রীলঙ্কান পুলিশ জানিয়েছে, দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে হতাহতদের উদ্ধার করা হচ্ছে। স্থানীয় বাটিকালোয়ার হাসপাতালে আহত অবস্থায় তিন শতাধিক ব্যক্তিকে ভর্তি করা হয়েছে। যাদের বেশিরভাগ মানুষের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
এদিকে ঘটনার কিছুক্ষণ পর এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান। এ সময় তিনি উদ্ধারকর্মীদের কাজে সবাই সহযোগিতারও আহ্বান জানান।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে জরুরি বৈঠকের ডাক দিয়েছেন।
শ্রীলঙ্কার অর্থমন্ত্রী মঙ্গলা সামারাবিরা এক টুইটে জানান, হত্যার উদ্দেশে সুসংগঠিতভাবে এই হামলা চালানো হয়েছে। এ হামলায় অনেক নিরপরাধ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
পাঠকের মতামত: