ঢাকা,শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০২৪

গণিত ছাড়া জীবনই অচল : জেলা প্রশাসক

প্রেস বিজ্ঞপ্তি ::

দেশের শীর্ষ দৈনিক প্রথম আলোর গণিত উৎসব-২০১৯ শুক্রবার সম্পন্ন হয়েছে। কক্সবাজার সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে সকাল সাড়ে ৯টায় বাছাই গণিত উৎসবের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন। এর আগে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল আটটার মধ্যেই কয়েক শ শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে মাঠে হাজির হয় । শীত তাদের আটকাতে পারেনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, জ্ঞান-বিজ্ঞানসহ জীবনের সকল ক্ষেত্রে গণিতের দরকার অনেক । বলতে গেলে গণিত ছাড়া জীবনই অচল। কিন্তু কক্সবাজারের শিক্ষার্থীদের এক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকলে চলবেনা।পযর্টন শহর কক্সবাজারের উন্নয়ন নিয়ে সরকারের আন্তরিকতার কথা তুলে ধরে জেলা প্রশাসক শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আলোকিত মানুষ হওয়ার তাগিদ দেন।

উৎসবে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম লোহাগড়া আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ একে ফজলুল হক, কক্সবাজার সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাম মোহন সেন, কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. নাছির উদ্দিন, গণিত শিক্ষক নারায়ন প্রসাদ দেব ও রফিকুল ইসলাম খান। । স্বাগত বক্তব্য দেন প্রথম আলো কক্সবাজার অফিসের প্রধান সাংবাদিক আব্দুল কুদ্দুস রানা। সঞ্চালনায় ছিলেন প্রথম আলো বন্ধুসভার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারিয়াল মৌমিতা মোস্তফা পুস্পি।

পরে চারটিক্যাটাগরিতেশিক্ষার্থীদের একঘন্টার মেধা যাছাই পরীক্ষা নেওয়া হয়। জেলা ৫২টি শিক্ষাপ্রতিষ্টানের ৮৮০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। তাদের মধ্য থেকে ১২৩ জনকে আঞ্চলিক উৎসবের জন্য বাছাই করা হয়। ডাচ-বাংলাব্যাংকেরসহযোগিতায়এ বছরদেশের ৬৪জেলায়উৎসবআয়োজনকরছেপ্রথমআলো।প্রথম আলো বন্ধুসভারসদস্যরাউৎসবপরিচালনাকরেন।

সাংবাদিক আব্দুল কুদ্দুস রানা বলেন, ‘গণিত শেখো-স্বপ্ন দেখো’ এই শ্লোগানে অনুষ্টিত উৎসবে বিজয়ীরা চট্টগ্রাম আঞ্চলিক উৎসবে যোগ দেবে। আঞ্চলিক উৎসবে বিজয়ীরা ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকায় অনুষ্টেয় ১৭তম বাংলাদেশ জাতীয় গণিত উৎসবে অংশ নেবে। জাতীয় পর্যায়ের বিজয়ীরা যোগ দেবে ইংল্যান্ডে অনুষ্টেয় ৬০তম আর্ন্তজাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে।

# চট্টগ্রাম উৎসবে যাচ্ছে ১২৩ বিজয়ী :

গণিত উৎসবে বিজয়ীদের মধ্যে প্রাইমারী ক্যাটাগরীতে ২৪ জন, জুনিয়রে ৩৪ জন, সেকেন্ডারিতে ৪৭ এবং হায়ার সেকেন্ডারিতে ১৮ জন।

# প্রাইমারী ক্যাটাগরী :

চকরিয়া অনুশীলন একাডেমির আবু বকর ছিদ্দিকী মারুফ, ফারিহা হোসাইন জারিয়া, মোস্তফা কামাল সায়েম, সাহদাত ইসলাম হামীম, দিদারুল ইসলাম রিফাত, সাঈদী হাসান সায়েম ও সাইমা জান্নাত সাকি।

বিয়াম ল্যাবরেটরী স্কুলের সায়েদ ইফাজ আহমেদ, রাফিকুল ইসলাম, এ এ ইনতাগির, আবরার হুদা ছিদ্দিকী, ফৌজিয়া আফরোজ ও নুর মোহাম্মদ নাবিল।

পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আব্দুল্লাহ আল হাসিব, রায়াস ইবনে রফিক, আদ্রিতা রুদ্র ও নীলাদ্রী পাল নীহা।

বিবেকানন্দ বিদ্যা নিকেতনের সৌম দেওয়ানজী রাজ ও হাসিবুল আলম তানিম।

ঈদগাঁহ আদর্শ শিক্ষানিকেতনের তাসফিয়া ইসলাম সোহানা, সাহিত্যিকা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোহাম্মদ রিয়াদ, উখিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হিমাদ্রী চৌধুরী, বার্মিজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সুদিপ্তা সেন সোভা এবং সানিবীচ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের লিলিয়ান ত্রিপুরা।

# জুনিয়র ক্যাটাগরী :

কক্সবাজার সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের ইরফানুল হক, সালমান বিন শামস, আলমগীর মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ, এহেসানুল হক আকিব, ইশমাম খান, জয় প্রকাশ দত্ত, প্রিতম দে ও আনাস বিন আলম আলবি।

কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের উমামা আজিম, সিদারুতুল মনতাহা, হৃদিতা পাল, রাহানুমা রাহাতিন শাম্মা, সোভায়েল তানতিন, লুবলুবা হক, মাশফিয়া রোবাইদা মিফতা ও রাদিয়া রাইহান।

কক্সবাজার মডেল হাইস্কুলের নওশাদ নওয়ার নিতু, রেহেনুমা কামাল কাশফিয়া ও তানজিমুল হুজাইফা।

বায়তুশশরফ জব্বারিয়া একাডেমির তুশরাত জাহান তুশা, শেহেজাদুল হক ও তাশরিফ আহমেদ।

অনুশীলন একাডেমির আবদুল্লাহ আল নোমান, মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল নোমান, আওলাদ হোসাইন মিশাল, জোহাইর আনজুম সৌভিক, সাবরিনা সোলতানা ও মোহাম্মদ মুস্তাকিম আকিব।

পৌর প্রিপ্যার‌্যাটরী উচ্চবিদ্যালয়ের সাইমন আমিন, সাইমুন আক্তার।

রামু ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইমতিয়াজ সেলিম নিশান ও সায়েম শাহরিয়ার সামি এবং চকরিয়া মেমোরিয়াল খ্রিস্টান হাই স্কুলের নাজিফ বিন রউফ।

# সেকেন্ডারি ক্যাটগরী :

কক্সবাজার সরকারি উচ্চবিদ্যালয় এনামুল মুনতাসির সাজিদ, কাউসার আহমেদ কায়েস, আফনান কৈয়ম, সিহাব আক্তার চৌধুরী, আদনান বোরহান, সাঈদ শাহরিয়ার , মাহমুদ শাওন, মোহাম্মদ আল সিফাত, মোহাম্মদ জায়েদ, তাফহিমুল ইসলাম ইলহাম, ইয়াসিন বিন ইসলাম, আলম মোহাম্মদ আলভী, ফয়সাল আবিদ, হোসাইন মোহাম্মদ নকিবুল হক, মো. নায়েমুল ইসলাম চৌধুরী, মারওয়ান ইসলাম হিম, মোহাম্মদ মোস্তফা, আকিবুল ইসলাম তকি, নওশাদ আবদুল্লাহ নাবিল, তায়েফ বিন কাদের ও মোজাহিদুল আলম।

কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের মিশকাতুল মমতাজ মুমু, ফারদিনাজ ইসলাম ঐশী, শ্রাবন্তী দে, তাসনিয়া তাফান্নুম নিহা, সাকিক নাজিয়াত, সালমা খানম নূরী, আথকিয়া আইমান মালিয়া, নাজিয়া তাসনিম জিফা, অহরনা দে অদ্রি, মুশফিরাত সিমিন, ফাতেমা তাসনিম জুমা, তাসনোভা শামীন ইরা, খাদিজা নুর মীম, আত্রী দে, আরিশা আবনাস হক ও আনিকা মুনতাহিন আম্মান।

অনুশীলন একাডেমির শেফায়েত হোসেন, সালমান মাহমুদ তাহসিন ও মুনতাসির উল ইসলাম, পৌরপ্রিপ্যার‌্যাটরী উচ্চবিদ্যালয়ের তাউসিফ উল্লাহ, প্রান্ত দাশ ও অভি দে।

বায়তুশশরফ জব্বারিয়া একাডেমির মোহাম্মদ রাসেল, সৈকত বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সোহানা কুমকুম, সুনিয়া আক্তার, পোকখালী মডেল হাইস্কুলের নাজিয়াত আল কেমি, কক্সবাজার হাশেমিয়া মাদ্রাসার ইউনুস তাকি।

# হায়ার সেকেন্ডারি ক্যাটাগরী :

কক্সবাজার সরকারি কলেজের কানিজ ফাতেমা সাফা, শাহজালাল শাহীন, গালিব আল জাদীদ, নাহিয়ান তাহমিদ আল ওয়াহিদ, রাব্বি আল রায়াস, জান্নাতুল ফেরদৌস, রাগিব শাহরিয়ার নিলয়, মাহির তানজীম, সিদরাতুল মুনতাহিনা ও দারুল মুনতাহীনা।

কক্সবাজার সরকারি মহিলা কলেজের তরিকাতুন রাইসা, সুমাইয়া হোসেন ও নাসরিন জামান মুক্তা। কক্সবাজার সিটি কলেজের ইমামুর রহমান, ওসামা জাওয়াদ মাহী, আবুজার গিফারী আলভী, আবু রাইহান ও তাহমিনা জান্নাত তুহিন।

পাঠকের মতামত: