পেটের ক্ষুধা যখন অসহনীয় হয়ে ওঠে, তখন সেটা নিবারণে সম্ভাব্য সবকিছু করছেন মার্কিন তরুণ-তরুণীরা৷ নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের গরীব পরিবারের তরুণীরা নিজের এবং অনেক সময় পরিবারের ক্ষুধা মেটাতে দেহ ‘বিক্রি’ করছেন৷
বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশের করুণ দশা!
বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷ তা সত্ত্বেও দেশটি সকল নাগরিকের নূন্যতম চাহিদা মেটাতে পারছে না৷ সে দেশের গরিব পরিবারের তরুণ-তরুণীরা খাদ্যের জন্য মাঝেমাঝে এত দিশেহারা হয়ে যায় যে চুরি, মাদক বিক্রি এমনকি দেহ ব্যবসাতেও জড়িয়ে যাচ্ছে৷ ওয়াশিংটন ভিত্তিক আরবান ইন্সটিটিউটের (ইউআই)-এর এক গবেষণায় জানা গেছে এই তথ্য৷
‘মনে হয় নিজেকে বিক্রি করছি’
একটু গরম খাবার পাওয়ার আশায় যৌনকর্মে লিপ্ত হওয়া পোর্টল্যান্ডের এক তরুণী ইউআই-এর গবেষকদের বলেছেন, ‘‘মনে হয় নিজেকেই বিক্রি করছি৷ কিন্তু অর্থ বা খাবার পেতে আপনি যা দরকার তাই করবেন৷’’ গত তিন বছরে ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সি ১৯৩ তরুণ-তরুণীর সঙ্গে আলাপ করেছেন গবেষকরা৷
খাদ্য অনিরাপত্তায় ভুগছে প্রায় সত্তর লাখ টিনএজার
গবেষকরা সাম্প্রতিক আদমশুমারির ফলাফল উদ্বৃত করে জানিয়েছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১০ থেকে ১৭ বছর বয়সি ৬৮ লাখের মতো তরুণ-তরুণী নিয়মিত পর্যাপ্ত খাবার পাচ্ছে না৷ তাদের মধ্যে ৩০ লাখ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতাহীনতায় ভুগছে৷
লেখাপড়ার চেয়ে কাজে মনোযোগী
গরীব ঘরের ছেলেমেয়েরা নিজের এবং পরিবারের খাদ্য চাহিদা মেটাতে লেখাপড়ার চেয়ে কাজের দিকে বেশি মনোযোগী হতে বাধ্য হচ্ছে৷ কিন্তু অভিজ্ঞতায় ঘাটতি থাকায় গরীব ঘরের অনেক তরুণী অন্য কাজ না পেয়ে দেহব্যবসায় জড়াচ্ছে বলে গবেষকরা জানিয়েছেন৷
ভিন্ন এক ‘ডেটিং’
না, ভালোবেসে নয়, বরং রাতের বেলা পেট পুরে খাওয়ার আশায় অনেক সময় নিজের থেকে বেশি বয়সের পুরুষের শয্যাসঙ্গী হচ্ছেন তরুণীরা৷ এক্ষেত্রে শর্ত হচ্ছে, ‘‘যদি তুমি আমার সঙ্গে সেক্স করতে চাও, তবে আগে রাতের খাবার খাওয়াতে হবে৷’’ উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে গরিবদের জন্য বিনামূল্যের ফুডব্যাংক থাকলেও অনেকে, বিশেষ করে অপ্রাপ্তবয়স্করা অনেক সময় সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত থেকে যায়৷ ফলে খাদ্যের আশায় ‘বিকল্প’ খুঁজতে হয় তাদের৷
পাঠকের মতামত: