ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

খন্দকার মোস্তাক ও জিয়াউর রহমানই সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য নায়ক-এমপি জাফর

নিজস্ব প্রতিবেদক ::
কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম বলেছেন, ১৫ আগস্ট কালোরাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র মনে করেছিল তারা আবারও স্বাধীন বাংলাদেশকে পাকিস্তানী ভাবধারায় ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। স্বাধীনতা বিরোধী চক্র সেই ষড়যন্ত্রও অনেক বছর চালিয়েছিল। তারা অনেকটা সফলও হয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ফিরে এসেছে। অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে বাঙালির।
এমপি জাফর আলম আরও বলেন, পাকিস্তানের দোসর খন্দকার মোস্তাক, তার প্রধান সহচর জিয়াউর রহমানসহ পাকিস্তানের দোসরেরা এতটাই ভীতসন্ত্রস্থ ছিল যে, জাতির পিতাকে যারা হত্যা করেছিল তাদের যাতে কোনদিন বিচার না হয় সেজন্য ইনডেমিনিটি অধ্যাদেশ (দায়মুক্তি) জারি করেছিলেন। যে অধ্যাদেশ ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। সেই দায়মুক্তির আইনের মাধ্যমেই প্রমাণ হয়ে গিয়েছে, খন্দকার মোস্তাক, জিয়াউর রহমানসহ তাদের অনুসারীরাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে, তারাই হত্যাকারী ছিলো। অবশেষে প্রথমমেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের রায়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্টিত হয়ে সেই দায়মুক্তির অধ্যাদেশ বাতিল করার মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পথ সুগম হয়েছে।
রবিবার (১৫) আগষ্ট সকালে চকরিয়ার বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ কর্নারে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও পৌরসভা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে খতমে কোরআন, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি জাফর আলম উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের বন-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ও কক্সবাজার জেলা পরিষদ সদস্য লায়ন কমরুদ্দীন আহমদ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী, পৌরসভা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ওয়ালিদ মিল্টন, সহ-সভাপতি তপন কান্তি দাশ, পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিক উদ্দিন চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা রফিক উদ্দিন, ছৈয়দ আলম, প্রচার সম্পাদক আবু মুছা, আমিনুল করিমসহ দলের উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে শোক দিবসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় প্রায় দুই শতাধিক আলেম-ওলেমা নিয়ে খতমে কোরআন ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন এমপি জাফর আলম। এসব আলেম-ওলেমা বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দীর্ঘক্ষণ দোয়া ও মোনাজাত করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন হাফেজ বশির আহমদ, রুহুল কুদ্দুছ আনোয়ারী আল আজাহারী।
অপরদিকে শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ কর্নারে উপজেলা যুবলীগ আয়োজিত মিলাদ মাহফিলেও প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন এমপি জাফর আলম। উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম শহীদ ও সাধারণ সম্পাদক কাউছার উদ্দিন কছিরের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদানসহ উপরোক্ত কর্মসূচী পালন করা হয়।
এছাড়াও শনিবার চকরিয়া পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নামার চিরিঙ্গাস্থ চিরিঙ্গা মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার উদ্বোধন করেন এমপি জাফর আলম। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন এমপি জাফর আলম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরীজ, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাহাত উজ-জামান দিপু, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা লায়ন কমরুদ্দীন আহমদ প্রমূখ। পরে ইউএনও’র উদ্যোগে প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত হতে যাওয়া ‘একটি বিদ্যালয় একটি স্বপ্নের বাতিঘর’ এর কার্যক্রম পরিদর্শন করেন এমপি জাফর আলম।
এর আগে সকাল দশটার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুলের শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পন করেন এমপি জাফর আলম। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পনের সময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী, ইউএনও সৈয়দ শামসুল তাবরীজ, এসি ল্যান্ড, চকরিয়া সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মো. তফিকুল আলম, থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যুবায়েরসহ সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।সিকেএন

পাঠকের মতামত: