নিজস্ব প্রতিনিধি, কুতুবদিয়া :::
কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ায় ৫৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৪টিতেই প্রধান শিক্ষকের পদ শূণ্য। ওই বিদ্যালয়গুলোতে দীর্ঘদিন ধরে পাঠদানসহ প্রাতিষ্টানিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে প্রধান শিক্ষক ছাড়াই। এছাড়া উপজেলায় বিদ্যালয়হীন গ্রামে স্থাপিত জালাল উদ্দিন আহমদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নজর আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাস্টার নূর আহমদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘ চার বছরেও সৃষ্টি হয়নি প্রধান শিক্ষকের পদ।
কুতুবদিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৫৬টি তার মধ্যে ২৪টি বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষকের পদ শূণ্য রয়েছে। প্রধান শিক্ষক ছাড়া বিদ্যালয়গুলো যথাক্রমে, তেলিয়াকাটা, ছমদিয়া, পশ্চিম ধুরুং, দক্ষিণ ধুরুং, রাজাখালী, উত্তর লেমশীখালী, পূর্ব লেমশীখালী, কৈয়ারবিল, কুতুবদিয়া মডেল,টেকপাড়া, খুদিয়ার টেক, উত্তর ধুরুং এন হোছাইন, জুম্মা পাড়া, লেমশীখালী পেয়ারাকাটা, লেমশীখালী এম.রহমান, বাইঙ্গাকাটা, দক্ষিণ ধূপী পাড়া, কে.এস.রেডিক্রিসেন্ট, পূর্ব তাবালের চর, শাহাজীর পাড়া, ফয়জানী পাড়া, এম. রহমান (উত্তর ধুরুং),উত্তর বড়ঘোপ ও কলৈস্যাঘোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
দীর্ঘদিন ধরে এসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক না থাকায় বিদ্যালয়ে লেখা-পড়ার গুণগত মান বৃদ্ধি হচ্ছেনা বলে অভিযোগ করেছেন দ্বীপের সচেতন অভিভাবক মহল। তারা জানিয়েছেন বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক না থাকায় নিয়মিত শ্রেণি কার্যক্রম, পাঠ উন্নয়ন ও মূল্যায়নে কোন ধরনের পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হয়না এসব বিদ্যালয়ে। যার কারনে এসব বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার মান দিনদিন নিম্নমূখী হচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের।
এব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ওমর ফারুক বলেন, উপজেলায় শূণ্য থাকা প্রধান শিক্ষকের ২৪টি পদ শীগ্রই পূরণ হবে। আগামী এক দেড় মাসের মধ্যে প্রধান শিক্ষকের শূণ্য পদগুলো পূর্ণ হতে পারে বলে জানান তিনি।
পাঠকের মতামত: