ঢাকা,রোববার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

কুতুবদিয়ায় স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণঃ সমস্যা ও সমাধানের উপায়

KDA_1নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার :::

ষাটের দশক হতে শত শত কোটি টাকা ব্যয় করে দ্বীপ কুতুবদিয়া রক্ষার জন্য বেড়িবাধঁ নির্মাণ করা হলেও নানা ত্রুটি বিচ্যুতির কারণে উক্ত বেড়িবাধেঁর স্থায়ীত্ব প্রশ্নবিদ্ধ। স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, জনপ্রতিনিধি, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী, আইনজীবী, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ সর্বস্তরের প্রতিনিধিদের আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে পূর্বের ত্রুটি-বিচ্যুতি সমূহ সনাক্ত করে দীর্ঘস্থায়ী টেকসই বেড়িবাধঁ নির্মাণের সুপারিশমালা প্রণয়ন এবং উক্ত সুপারিশমালা সরকারের নিকট পেশ করা আজকের গোল টেবিল আলোচনার একমাত্র উদ্দেশ্য।

কুতুবদিয়ার পরিচিতিঃ ১৫০০ শতকের শেষের দিকে মতান্তরে ১৭০০ শতকের প্রথম দিকে কুতুবদিয়া দ্বীপের সৃষ্টি। কর্ণফুলী, শংখ ও মাতামুহুরী নদীবিধৌত পলি দ্বারা গঠিত পেকুয়া ও বাশঁখালীর উপকূল রেখার সমান্তরালে অবস্থিত উত্তর-দক্ষিণ লম্বা বঙ্গোপসাগরে ভাসমান হাসের ন্যায় একটি দ্বীপ কুতুবদিয়া। জানা যায় সৃষ্টি লগ্ম হতে ১৯০০ সাল পর্যন্ত এ দ্বীপের আয়তন ছিল ৫৭/৫৮ বর্গমাইল। কালের বিবর্তনে তা বর্তমানে ২২/২৩ বর্গমাইলে এসে দাড়িঁয়েছে। কুতুবদিয়াকে বহিঃবিশ্বে পরিচয়কারী ১৮৩৬ সালে নির্মিত সু-উচ্চ বাতিঘর ১৯৮০ সালে সমুদ্র গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।

প্রাকৃতিক দূর্যোগে কুতুবদিয়াঃ মূল ভূখন্ড হতে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ কুতুবদিয়া পেকুয়া-বাশঁখালীর ৩৮১১ মিটার পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত হওয়াতে প্রাকৃতিক দূর্যোগ তথা ঘূর্ণিঘড় ও জলোচ্ছাস কুতুবদিয়ার নিত্যসঙ্গী। আর এ প্রাকৃতিক দূর্যোগের কবলে পড়ে সৃষ্টি লগ্মের ৫৮ বর্গমাইলের কুতুবদিয়া জৌলুস হারিয়ে বর্তমানে ২২ বর্গমাইলে এসে ঠেকেছে। বিশেষ করে ১৯৬০ সাল ও ১৯৭০ সালের জলোচ্ছাস, ১৯৯১ সালের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় এবং সর্বশেষ ২১শে মে ২০১৬ সালের রোয়ানোর আঘাত দ্বীপ কুতুবদিয়াকে ক্ষত-বিক্ষত করেছে।

কুতুবদিয়াকে রক্ষার প্রয়োজনীয়তাঃ ভৌগলিক অবস্থান এবং অর্থনৈতিক সম্ভাবনার কারণে কুতুবদিয়াকে রক্ষা করা একান্ত আবশ্যক। দেশের মৎস্য ও লবণ শিল্পে কুতুবদিয়ার অবদান অনস্বীকার্য। দেশের উত্তোলনযোগ্য একমাত্র গন্ধক খনি কুতুবদিয়াতে অবস্থিত এবং অনউত্তোলিত গ্যাস ক্ষেত্রের অবস্থান কুতুবদিয়ার পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরে। তাছাড়া পেকুয়া ও বাশঁখালীর উপকূল রেখার সমান্তরালে উত্তর-দক্ষিণ লম্বা-লম্বিভাবে কুতুবদিয়ার অবস্থান হওয়ার কারনে বঙ্গোপসাগরের করাল গ্রাস হতে রক্ষা পেয়েছে উক্ত দুটি উপজেলাসহ মহেশখালী উপজেলার উত্তরাংশ। কোন কারণে যদি দ্বীপ কুতুবদিয়ার অস্থিত্ব বিপন্ন হয় তাহলে উক্ত উপজেলা সমূহ বঙ্গোপসাগরের করাল গ্রাসে পতিত হওয়ার পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের হাজার হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ লক্ষ্যমাত্রা চরমভাবে হুমকির সম্মুখীন হবে এবং জলবায়ু উদ্ভাস্তুতে পরিণত হবে পৌনে দু’লক্ষ দ্বীপবাসী। ফলে অত্র এলাকায় দেখা দিবে চরম অর্থনৈতিক ও মানবিক বিপর্যয়।

কুতুবদিয়াকে রক্ষায় সরকারী প্রচেষ্টাঃ দেশের প্রয়োজনীয়তার নিরীকে দ্বীপ কুতুবদিয়াকে রক্ষার জন্য ইতিপূর্বে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ১৯৬০ সালের জলোচ্ছাসের পর সর্ব প্রথম কুতুবদিয়ার চতুর্দিকে বেড়িবাঁধ নির্মাণের পদক্ষেপ নেয়া হয়। মাটির তৈরী বাঁধ এবং অধিক ভাংগন প্রবণ এলাকায় বাঁেধর উপর বাঁশের বেড়া দিয়ে বঙ্গোপসাগরে ভাসমান দ্বীপ কুতুবদিয়াকে রক্ষা করার প্রানান্ত চেষ্টা ছিল স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময়ে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে কুতুবদিয়া উপজেলার বড়ঘোপ বাজারের পাশে পাথর দিয়ে এবং মাতবর পাড়া মসজিদের পাশে সিমেন্ট-কংক্রিটের ঢালাই দিয়ে সামান্য পরিমাণ স্থায়ী বাধঁ নির্মাণ করা হয়। ১৯৮৫-৮৬ সাল হতে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সময়ে বড়ঘোপ হতে কৈয়ারবিল পর্যন্ত প্রায় ৩.৫০ কিলোমিটার ইটের গাথুনি ও আস্তর দিয়ে বাধঁ নির্মাণ করা হয়। কিন্তু ১৯৯১ সালের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছাস সব বাধঁ ভেঙ্গে চুর-মার করে ফেলে এবং হতাশায় নিমজ্জিত হয় সমগ্র কুতুবদিয়াবাসী। পরবর্তীতে সৌদী সহায়তায় অর্ধশত কোটি টাকা ব্যয়ে কুতুবদিয়ার চতুর্দিকে নির্মাণ করা হয় মাটির বেড়িবাধঁ। যথাযথ সংস্কারের অভাবে উক্ত মাটির বাধঁ পর্যায়ক্রমে ক্ষতিগ্রস্থ হতে থাকে এবং সর্বশেষ রোয়ানোর আঘাতে দ্বীপ কুতুবদিয়া রক্ষা বাঁধ সাগরের সাথে একাকার হয়ে গেছে।

জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাছিনা ২০০৯ সালে সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর কুতুবদিয়াকে রক্ষার জন্য স্থায়ী বেড়িবাধঁ নির্মাণের নির্দেশ দেন এবং বৈদেশিক সহায়তায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক সি,সি, ব্লক দিয়ে ৩.০০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়। উক্ত প্রকল্প শেষ হওয়ার কারণে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড “কক্সবাজার জেলাধীন ক্ষতিগ্রস্থ পোল্ডার সমুহের পূনর্বাসন প্রকল্প” নামে আর একটি প্রকল্প গ্রহণ করে। বিগত ২৫-৬-২০১৫ইং তারিখে একনেকে পাশকৃত ২৫৯ কোটি ৭৬ লক্ষ টাকার উক্ত প্রকল্পে মাতামুহুরী নদীর তীর সংরক্ষণ, মাতামুহুরী নদীর পলি অপসারণ, ২টি পানি নিয়ন্ত্রণ অবকাঠামো নির্মাণ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অফিস বিল্ডিং, রেষ্ট হাউস, ব্যারাক ও আবাসিক এলাকা তথা ২৯টি অবকাঠামো মেরামত ও রক্ষনাবেক্ষণের পাশাপাশি কুতুবদিয়ায় সি, সি, ব্লকের মাধ্যমে প্রায় ৩.০০ কিলোমিটার স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজও অন্তর্ভূক্ত রয়েছে। বর্তমান ২০১৬-১৭ অর্থ বৎসরে উক্ত প্রকল্পের অধীনে ৪৯ কোটি ৫৭ লক্ষ টাকার বাজেট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। উক্ত বরাদ্দের মধ্যে কুতুবদিয়ার স্থায়ী বেড়িবাধেঁর জন্য কত টাকা ব্যয় করা হবে তা পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্থানীয় কর্তাব্যক্তি খোলাসা করে বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

কুতুবদিয়ায় সি, সি, ব্লকের মাধ্যমে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণে সমস্যাঃ ইতিপূর্বে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক কুতুবদিয়ায় সি, সি, ব্লকের সাহায্যে যে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে এবং বর্তমানে চলমান প্রকল্পের অধীনে একইভাবে যে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন তার স্থায়ীত্ব প্রশ্নবিদ্ধ এবং বাস্তবতার আলোকে নিম্মোক্ত সমস্যা সমূহ পরিলক্ষিত হয়ঃ
(১) ছোট ছোট সি, সি, ব্লক দিয়ে বাঁধ তৈরী হেতু পানির ঢেউ এর কারণে সহজেই ব্লক সরে গিয়ে স্বল্প সময়ে বাঁধ নষ্ট হয়ে যায়।

(২) সি, সি, ব্লক সমূহ আলাদা আলাদাভাবে পাশাপাশি লাগানো হেতু ঢেউয়ের পানি সহজেই ফাকঁ দিয়ে নীচে প্রবেশ করে এবং আস্তে আস্তে মাটি ক্ষয় হয় এবং ব্লক বসে গিয়ে বাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

(৩) সি, সি, ব্লকের সামনে অর্থাৎ নীচের দিকে গাইড ওয়াল না থাকাতে উপরে ওঠা ঢেউয়ের পানি নীচে নামার সময় পানির তোড়ে ব্লক নীচে পড়ে গিয়ে বাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। একইভাবে উপরের দিকে গাইড ওয়াল না থাকাতে ঢেউয়ের পানি ও বৃষ্টির পানিতে মাটি ক্ষয় হয়ে ব্লক বসে যায় ফলে বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।

(৪) সি, সি, ব্লক বসানোর জন্য যে বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে তা ৬০/৭০ ভাগ বালি দিয়ে করার কারণে স্বল্প সময়ের মধ্যে বাঁধ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

উপরোক্ত সমস্যা সমূহ সম্পূর্ণরুপে কারিগরি সমস্যা বিধায় বাস্তবতার নিরীকে সঠিক কারিগরী ব্যবস্থা গ্রহণ করে উক্ত সমস্যা সমূহ হতে উত্তোরণ সম্ভব। তাছাড়া কুতুবদিয়ায় স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণে কর্তৃপক্ষীয় কিছু দূর্বলতাও পরিলক্ষিত হয় যা নিম্মরুপঃ
(১) কুতুবদিয়ায় স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য প্রকল্প গ্রহণে দীর্ঘ সুত্রিতা।

(২) কুতুবদিয়ার জন্য আলাদাভাবে প্রকল্প গ্রহণ না করে কক্সবাজার জেলার গুচ্ছ প্রকল্পের অধীনে বেড়িবাধেঁর কাজ করা।

(৩) এলাকার বাস্তবতার বিষয় ও কারিগরি দিক পূংখানুপূংখরুপে বিবেচনা না করে উপর মহলের চাপিয়ে দেওয়া পদ্ধতিতে বেড়িবাধঁ নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করা।

(৪) যথা সময়ে কাজ শুরু বা শেষ করতে না পারার কারণে পর্যাপ্ত সরকারী বরাদ্দ না পাওয়া।

(৫) ঠিকাদার নিয়োগে দীর্ঘ সুত্রিতা এবং ঠিকাদার নির্বাচনে পক্ষপাতমূলক আচরণ।

(৬) প্রকল্পের সহিত অযাচিত বিষয়াদি সন্নিবেশিত করে অনাকাংখিতভাবে প্রকল্প ব্যয় বৃদ্ধির কারণে যথাসময়ে তৈরীকৃত প্রকল্প অনুমোদন না হওয়া।

কুতুবদিয়ায় স্থায়ী বেড়িবাধঁ নির্মাণের সমস্যা সমাধানের প্রস্তাবিত উপায়ঃ কুতুবদিয়ায় স্থায়ী বেড়িবাধঁ নির্মাণে আমাদের বিবেচনায় কারিগরি ও কর্তৃপক্ষীয় যে সমস্ত ত্রুটি-বিচ্যুতি পরিলক্ষিত হয়েছে তা নিম্মোক্ত উপায়ে সমাধান করা যায়ঃ

কারিগরি সমস্যার সমাধানঃ
(১) শতভাগ মাটি ব্যবহার করে মেকানিক্যাল কম্পেকশনের মাধ্যমে প্রথমে মাটির বাঁধ নির্মাণ করা এবং তার উপর সাগরের দিকে স্থায়ী বাধেঁর কাজ করা।

(২) বাঁধের বর্তমান উচ্চতা আরো ৫ ফুট বৃদ্ধি করা।

(৩) ছোট ছোট সি, সি, ব্লকের পরিবর্তে ৪০ফুট বাই ৪০ফুট দ্বি-স্তর বিশিষ্ট আর, সি, সি, ঢালাইয়ের মাধ্যমে বাধঁ নির্মাণ। ১ম স্তরের পুরুত্ব হবে ১২ ইঞ্চি এবং তার উপরে ২য় স্তরের পুরুত্ব হবে ৮ ইঞ্চি।

(৪) নীচে ও উপরে উভয় দিকে ৫ ফুট গভীর ১২ ইঞ্চি পুরুত্বের আর, সি, সি, গাইড ওয়াল নির্মাণ।

(৫) দু’টি ব্লকের মাঝখানে রাবার দিয়ে তার উপর বিটুমিন দিয়ে সীল করা, যাতে পানি প্রবেশ করে মাটি স্পর্শ করতে না পারে।

আমাদের প্রস্তাবিত মতে আর,সি,সি, ঢালাইয়ের মাধ্যমে বাধঁ নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারের জন্য ব্যয় হবে প্রায় ১৮ (আটার) কোটি টাকা (মাটির কাজ ছাড়া)। পক্ষান্তরে সি,সি, ব্লকের কাজের ক্ষেত্রে বর্তমানে প্রতি কিলোমিটারের ব্যয় প্রায় ২০(বিশ) কোটি টাকার উপরে। উপরোক্ত ৫টি বিষয় বিস্তারিত ব্যাখ্যা করতে গেলে সময় ও লেখার কলেবর অযথা বৃদ্ধি পাবে বিধায় ব্যাখ্যা না করে উপরোক্ত মতে বাধঁ নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারের জন্য প্রয়োজনীয় মালামালের পরিমাণ নিম্মে উল্লেখ করা হলঃ
(ক) রড- = ৬০০ মেট্রিক টন।
(খ) ইটের খোয়া- = ২,৮৫,০০০ সি,এফ,টি।
(গ) সিমেন্ট- = ১,৪৪০ মেট্রিক টন।
(ঘ) বালি- = ৭২,০০০ সি,এফ,টি।
(ঙ) বিটুমিন- = ১ মেট্রিক টন।
উপরোক্ত মালামাল ছাড়া রাবার, পলিথিন ও তারসহ আনুসঙ্গিক কিছু মালামাল প্রয়োজন হবে এবং আমাদের প্রাক্কলনে উক্ত মালামাল ক্রয় ও শ্রমিকের মজুরিসহ আনুসঙ্গিক কাজের জন্য যথাযথ সংস্থান রাখা হয়েছে।

কর্তৃপক্ষীয় দূর্বলতার সমাধানঃ
(১) ভবিষ্যতের প্রয়োজনীয়তার নিরীকে এককভাবে কুতুবদিয়ার জন্য প্রকল্পের প্রাক্কলন তৈরী পূবর্ক সরকারের অনুমোদনের ব্যবস্থা করা।

(২) বেড়িবাঁধ নির্মাণের প্রাক্কলনে বনায়নের জন্য অর্থ সংস্থান রাখা। কারণ উক্ত কাজ বন বিভাগের উপর ছেড়ে দিলে অযথা সময় ক্ষেপণ হতে পারে।

(৩) প্রকল্পের প্রাক্কলনে অযথা বিষয়াদি সন্নিবেশিত না করে প্রকল্প ব্যয় যতদুর সম্ভব সরকারের সামর্থ্যরে মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা।

(৪) অনুমোদিত প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করা এবং পক্ষপাতহীনভাবে ঠিকাদার নিয়োগ করা।

(৫) শুস্ক মৌসুমে নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শুরু এবং শেষ করা যাতে ব্যয় বৃদ্ধি না পায়।

(৬) কাজের মান সঠিক রাখার জন্য তদারক ব্যবস্থা জোরদার করা এবং প্রয়োজনে এলাকার স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিদের নিয়ে তদারক কমিটি গঠন করা।

(৭) প্রাক্কলিত প্রকল্প দ্রুত অনুমোদন এবং বরাদ্দ প্রাপ্তির জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্যকে কাজে লাগানো।

কুতুবদিয়ায় স্থায়ী বেড়িবাধঁ নির্মাণের সমস্যা সমাধানের উপরোক্ত সম্ভাব্য উপায় সমুহের আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ২৫ বৎসর মেয়াদী খসড়া পরিকল্পনায় কুতুবদিয়ার পোল্ডার ৭১ কে র‌্যাংকিং-১ প্রকল্প হিসাবে অন্তর্ভূক্ত করার মাধ্যমে দ্বীপ কুতুবদিয়াকে রক্ষা করা যাবে বলে একান্ত বিশ্বাস।

সংকলনঃ আ. ন. ম. শহীদ উদ্দিন ছোটন
সভাপতি, কুতুবদিয়া প্রেস ক্লাব

কুতুবদিয়া সমিতি কক্সবাজার।

পাঠকের মতামত: