ঢাকা,রোববার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

কাশ্মীরে ‘সামরিক একনায়কতন্ত্র’ চালাচ্ছেন মোদি

চকরিয়া নিউজ ডেস্ক ::  জম্মু ও কাশ্মীরে ইন্টারনেট ও মোবাইল পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। ভারতীয় বাহিনী রাতে বাড়িতে হানা দিয়ে কাশ্মীরি কিশোরদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে। গোটা রাজ্যের বিরোধী নেতারা বন্দি। কাশ্মীরে নরেন্দ্র মোদি সরকার কার্যত ‘সামরিক একনায়কতন্ত্র’ চালাচ্ছে। এমনটাই দাবি করেছেন সিপিআই (এমএল) নেত্রী কবিতা কৃষ্ণন।

গতকাল শুক্রবার কলকাতা প্রেসক্লাবে এক সভায় এ মন্তব্য করেছেন তিনি।

সম্প্রতি কাশ্মীরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এরপরেই সেখানে যায় চার সদস্যের এক প্রতিনিধি দল। সেই দলে কবিতা ছাড়াও ছিলেন অর্থনীতিবিদ জঁ দ্রেজ এবং আরও দুই সমাজকর্মী মাইমুনা মোল্লা ও বিমল ভাই। শুক্রবার কলকাতা প্রেসক্লাবে তাঁদের তৈরি ভিডিও রিপোর্ট ‘কাশ্মীর কেজড’ দেখানো হয়। এতে ধরা রয়েছে উপত্যকার নানা অংশের খণ্ডচিত্র।

কবিতা কৃষ্ণন বলেছেন, অনেক রাজনৈতিক নেতা কাশ্মীরে যাওয়ার কথা ঘোষণা দেয়ায় তাঁদের শ্রীনগর বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হয়। কিন্তু আমরা যাওয়ার কথা ঘোষণা করিনি। তাই হয়তো উপত্যকায় পৌঁছাতে পেরেছিলাম।

তিনি জানান, অনেক সময়ে বাহিনী আটকালেও নানাভাবে জওয়ানদের বুঝিয়ে উপত্যকার নানা প্রান্তে যেতে পেরেছেন তাঁরা। কেবল শ্রীনগরের মাইসুমা এলাকায় একটি ঘটনার খবর পেলেও সিআরপিএফ-এর বাধায় যেতে পারেননি তাঁরা। পরে জেনেছিলেন সেখানেই বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিকের বাড়ি।

কবিতা বলেন, সরকারের অনেক কর্মকর্তা বলছেন কিছুদিন মোবাইল-ইন্টারনেট না চললে কী হয়েছে? কিন্তু এ কারণে কাশ্মীরের অনেক গরীবের চিকিত্‍সা আটকে যাচ্ছে। কারণ, যে সরকারি প্রকল্পের অধীনে তাঁদের বিনা খরচে চিকিত্‍সা হতে পারে ইন্টারনেটের অভাবে সেই প্রকল্পের সাইটে লগ ইন করতে পারছেন না চিকিত্‍সকেরা।

তাঁর দাবি, বিশেষ মর্যাদা বিলোপের বেদনা তো আছেই। পাশাপাশি কাশ্মীরিদের কাছ থেকে শান্তিপূর্ণ উপায়ে প্রতিবাদের অধিকারও কেড়ে নেওয়া হয়েছে।

কবিতা প্রশ্ন রাখেন, ভারতের অন্য রাজ্যে কি এভাবে কার্যত গোটা সমাজকে এক মাস ধরে আটকে রাখা সম্ভব? আমার ধারণা সেক্ষেত্রে জাতীয় স্তরে প্রবল হৈচৈয়ের জেরে বিপাকে পড়বে সরকার।

তিনি বলেন, ভারতের মতো পাকিস্তান সরকারও কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাক বিবাদ তৈরি করতে চায়। পাক-অধিকৃত কাশ্মীরেও একনায়কতন্ত্র চলার নজির রয়েছে। কাশ্মীরিদের অধিকার নিয়ে পুরো দেশের মুখ খোলা উচিত। সূত্র : ডেইলি হান্ট

পাঠকের মতামত: