ছালাম কাকলী, কালারমারছড়া :::
বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় রাজাকারদের হাতে প্রথম শহিদ মুক্তিযোদ্ধা কালারমারছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: শরিফ প্রকাশ মোহাম্মদ হত্যা কারীরা এখনো পযর্ন্ত এ পরিবারের পিছে লেগে রয়েছে । তবুও এ পরিবারের সদস্যরা তিল পরিমাণও আ’লীগের হাল ছাড়ে নি।এ ইউনিয়নের একমাত্র আ’লীগ পরিবার হচ্ছে এটাই । তবে আ’লীগের দলে ঘাপটি মেরে বসে থাকা রাজাকার পরিবারের সদস্যরা আ’লীগ নেতা ও উত্তর মহেশখালীর রুপকার ওসমান চেয়ারম্যানকে সন্ত্রাসীরা গুলি করে তার অফিসে ২০১২ সালে প্রকাশ্যে হত্যা করে। এর পূর্বে তার ভাই ছৈয়দ নুর বাঙ্গালীকে কৌশলে হত্যা করে । এর পর তার চাচাত ভাই মৌলভী গফুরকে ও সন্তাসীরা এলোপাতাড়ী কুঁিপয়ে হত্যা করে। এভাবে এবাহিনীর হাতে নিহত হয়েছে ওসমান পরিবারের ৩ সদস্যসহ এলাকার ৬ জন ব্যাক্তি। এখন এ বাহিনীর সদস্যরা ইউপি চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরিফকে হত্যা করার পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছে । এতে কালারমারছড়া ইউনিয়নের সাধারণ ব্যবসায়ীরা আতংকের মধ্যে দিনাতি পাত করছে । ওসমান হত্যা মামলার আসামীরা নির্বাচন পরবর্তী বেপরোয়া হয়ে তারেক শরিফের সমর্থিত লোকজনের বাড়ি ঘরে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে লোটতরাজ অব্যাহত রেখেছে । রহস্য জনক কারণে পুলিশ নিরব ভূমিকা পালন করায় তারেক শরিফ শংকিত অবস্থায় রয়েছে ।
সরে জমিনে অনুসন্ধান করে জানা যায়, সম্প্রতি কালারমারছড়া ইউপি নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে । এ নির্বাচনে বিভিন্ন মামলার আসামী সেলিম চৌধুরীকে নৌকা প্রতিক বরাদ্ধ দেয়ায় আ’লীগ পরিবারের সদস্যরা ওএলাকার সাধারণ লোকজন ক্ষুদ্ধ হয়ে কলা গাছ নিয়ে ওসমান চেয়ারম্যানের পুত্র তারেক শরিফের পক্ষে লোকজন এলাকায় কয়েক দফা শো-ডাউন করে । জনতার চাপের মুখে তারেক শরিফ হোন্ডা মার্কা নিয়ে নির্বাচন করে প্রায় ১০ হাজার ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয় । তার নিকট তম প্রতিদ্বন্ধি ছিলেন বি এন পি মনোনিত প্রার্থী আলহাজ্ব এখলাছ চৌধুরী । নৌকা প্রতিক প্রার্থী সেলিম চৌধুরীর ভরাডুবি হয় । কারণ স্বাধীনতা যুদ্ধে কক্সবাজার জেলার প্রথম শহিদ মো: শরিফের হত্যা কারীরা এখনো আ’লীগের দলে ঘাপটি মেরে বসে একের পর এক হত্যা অব্যাহত রেখেছে । স্বাধীনতা যুদ্ধের পর নিহত মো :শরিফ চেয়ারম্যানের ভাইপুত ছৈয়দ নুর বাঙ্গালী , মৌলভী গফুর ও তার নিকটতম আত্মীয় হেলালকে হত্যা করে । সর্বশেষ রাজাকার জালাল মেম্বারের পুত্র মির কাশেম চৌধুরীর সাথে হাত মিলায় সেলিম চৌধুরী । এসময় সন্ত্রাসীরা ২০১২ সালে ওসমান চেয়ারম্যানকে হত্যা করে । বিভিন্ন মামলার আসামী সেলিম চৌধুরী কে নিয়ে রাজাকারের সন্তানেরা আ’লীগের দোহাই দিয়ে এলাকায় কয়েকটি উঠান বৈঠক শেষ করে । এতে সম্প্রতি অনুষ্টিত ইউপি নির্বাচনে সেলিম চৌধুরীকে জেলা আ’লীগের নেতা কর্মীদের সুপারিশে দল থেকে নৌকা প্রতিক বরাদ্ধ দেয়া হয়। স্বাধীনতা বিরোধী পরিবারের সদস্যদের সাথে সেলিম চৌধুরী হাত করায় নির্বাচনে তার ভরাডুবি হয় । এ কারণে ক্ষুদ্ধ হয়ে এলাকার বাঘাবাঘা পলাতক থাকা সন্ত্রাসী এনে তারেক সমর্থিত লোকজনের বাড়িঘরে লোটপাট অব্যাহত রেখেছে । লুট করে নিচ্ছে মজুদ থাকা মালামাল সহ গবাদি পশু । এখন নিরাপদের আশ্রয়ে পাহাড়ের পাদ দেশে বসবাস রত অনেকে বাড়ি ঘর ছেড়ে তারেকের কাছে অবস্থান করছে । পুলিশ সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের মহড়া প্রকাশ্যে দেখলেও রহস্য জনক কারণে নিরব ভুমিকা পালন করছে ।
পাঠকের মতামত: